পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডুকেশ্বৰ * y (W) সহরগুলি বরফের মধ্যে থেকে ধীরে ধীরে প্রকাশিত হোচ্ছে । এ দৃশ্য বড়ই সুন্দর। শীতকালে সমস্ত বরফে T [কা থাকে। একটা স্থান দেখলুম, সমস্ত বরফে ঢাকা, একদিন পরেই দেখা গেল বরফ গোলে গোলে তার গধ্য হোতে একটা দীর্ঘ চুড়ি প্ৰকাণ্ড মন্দির বের হোয়ে পড়েছে ; হঠাৎ এই রকম পরিবর্তন দেখলে মনে ভারি আনন্দ হয়। আমি চোলাতে চোলাতে দেখাচি সহরের অনেক স্থান এবং অনেক পথ এখনো সৰ্ব্বফে ঢাকা রয়েছে ; স্থানে স্থানে বা বরফ গোলছে আর তার ভিতর থেকে ঘাস বেরিয়ে পড়ছে ; চারিদিক সাদা, মধ্যে মধ্যে নবীন তৃণ মাথা তুলে দিয়ে চারিদিকের তুষার-ধবল স্তপের মধ্যে অনেকখানি নৃতনত্ব বিস্তার কোরছে । ঘরে ঘরে একটা দোকান ঘরে এসে বোসাল্লুম। দশটা বেজে গিয়েছে ; এখনও সঙ্গীদের দেখা নেই ; এই অপরিচিত জন-বিরল স্থানে এক বড়ই কষ্ট বোধ হোতে লাগলো ; সঙ্গীদের জন্য ও ভাবনা হোতে লাগ লো । ক্ৰমে যত বেলা বাড়তে লাগলো, ততই শরীরের মধ্যে গরম বোধ কোর্তে লাগ লুম। বোধ হোতে লাগলো যেন শরীরের মধ্য দিয়ে আগুন ফুটে বেরোচ্ছে ; আমি আর বোসে থাকতে পাল্লুম না, কম্বল মুড়ি দিয়ে ...शे দোকানেই শুয়ে পড়লুম! ক্ৰমে এমন মাথা ধোবুলে যে তা আর বলবার নয় ; মনে হোলো মাথার মধ্যে কে ক্ৰমাগত হাতুড়ীর বাড়ি মাৰ্বছে । চোক দুটি ছুটে বের হবার উপক্রম হোলো এবং বুকের মধ্যে এমন যন্ত্রণা যে শ্বাসরোধের আশঙ্কা হোতে লাগলো । স্থির হোয়ে থাকতে পালুম না, যন্ত্রণায় ছটু ফন্ট কোর্ক্সে লাগ লুম। শুয়ে থাকি তাতেও কষ্ট, উঠে বসি তারও উপায় নেই ; তার উপর এমন জায়গায় এসে পোড়েছি যে, আমাকে একটা কথা জিজ্ঞাসা করে এ রকম লোকও একটী নেই ! যে দোকানে পোড়ে রয়েছি, সে দোকানদার