পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

’পাণ্ডুকেশ্বর 9 6R6 নিজেই ভাল জিনিস সন্ধান কোরে খাওয়া দাওয়ার উদ্যোগ করা এ গুণটা তোমার যেমন, আর কারো সে রকম দেখতে পাইনে।” বন্ধু যেন স্বৰ্গ হাতে পেলেন ; আমনি তঁর মুখ খুলে গেল, আমার হাত দুটি ধোরে সবিনিয়ে বোল্লেন, “দেখ ভাই, তোমাদের খাওয়ানের জন্যে আমার বড়ই আগ্ৰহ হয়। এক সঙ্গে যে পাচ দিন আমোদে কাটান যায়, সেও পরম সুখের কথা । টাকা কড়ি আর তা সঙ্গে যাবে না, কিন্তু এ কথা বোঝে কি নে ?”- দেখতে দেখতে ট্রাম গাড়ি ঘড়ঘড় শব্দে নূতন বাজারে এসে পড়লো। বন্ধুবর চাংকার কোরে বল্লেন, “রাধো” ? গাড়ি না বাধলে ভায় নামতে পারতেন না, সুতরাং তার নামবার আবশ্যক হোলে তার জন্যে অনেকখানি আয়োজন কোর্ভে হোতে। অনেক সোর গোল কোরে তিনি নেমে পড়লেন; তারপর আমার হাত ধোরে টানাটানি। আমি বলুম “নামতে হবে শোভাবাজারের মাড়ে, এখানে হঠাৎ তোমার কি কাজ পো। ড্র গেল ? ভায়া কোন দিকে কাণ না দিয়ে আমীর হাত ধোরে বাজারের ভিতর প্রবেশ কল্লেন, এবং খেজুরগাছের মাথার মত মাথাওয়ালা এক ডজন গল্লাচিংড়ি, দুৰ্ম্মল্য ফুলকপি এবং কড়াইশুটী প্ৰভৃতিতে তিন টাকার বাজার নিয়ে বাসার দিকে চলেন । শুধু আমি অবাকু নই, বাসায় উপস্থিত হোলে সকলেই অবাক হাঁয়ে গেলেন ; রাত্রে মহাধুমে পোলাও কালিয়ার বন্দোবস্ত হলো। সেদিন দাদার মিতব্যয়িতার পরিচয় পেয়ে অমিত্যব্যয়ী ছোট ভাইট যে সকল স্বগত উক্তি কোরেছিল, তা প্ৰকাশ্যে বল্লে বোধ হয় আমোদ আর একটু বেশী হোতো । যাহোক ইংরাজী না শিখলে দেশ কি রকম কোরে উদ্ধার হয়, রাত্রে দাদার কাছে সে তার অতি সুন্দর পরিচয় পেয়েছিল। সেই অনেক দিনের পুরাণো কথা আজ খুলে লিখলুম, এখন বন্ধুবিচ্ছেদ না হোলে বাচি। যা হোক শতশত প্ৰশংসা-পত্ৰ দেখিয়েও জ্যোতিষী মহাশয়ের আশ। মিটলো না। শেষে বাক্সের ভিতর হােতে দু তিন খানা ‘অমৃতবাজার” বের কোরে আমাকে দুই তিনটে জায়গা পোড়তে দিলেন। পাশে লাল