পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

为心2 श्भिाव দাগ দেওয়া- দেখলুম, হরিদ্বারে কুম্ভ মেলার সময় ইনি নিজে খরচ পত্ৰ কোরে অনেক গরীব সাধু সন্ন্যাসীকে আহার দিয়েছিলেন ও এতদ্ভিন্ন প্রচুর বস্ত্র অর্থাদিও দান করেছিলেন, এই কথা কে অমৃতবাজারে টেলিগ্রাম কোরেছে ; ইনি সেই সমস্ত টেলিগ্রাম সংগ্রহ কোরে রেখেছেন। জ্যোতিষীর কাছে মহারাজ ঠাকুর বাহাদুর ও কুমার বাহাদুরের ফটো দেখতে পেলুম ; উজ্জল, প্ৰসন্ন, শান্তিপূর্ণ বদন এবং তাতে পুরুষ সুলভ কাঠিন্যের অভাব দেখে মনে আপনি একটা প্রীতি এবং শ্রদ্ধা ভক্তির ভাব এসে উপস্থিত হােলো। কত দিন স্বদেশ দেখি নি—স্বদেশীর মুখ পৰ্য্যন্ত যেন ভুলে গিয়েছি। আজ এই ছবি দুখানি দেখে ভারি আনন্দ লাভ কোল্লাম। এই প্রবাসের মধ্যে বোধ হোলে। এরা আমার পরম আত্মীয়। কোথায় মহৈশ্বৰ্য্য-সম্পন্ন সম্রান্ত রাজপরিবার, আর কোথায় সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী ; আমি কিন্তু আমাদের মধ্যে এই গভীর ব্যবধান ভুলে গেলুম। শুনেছি স্বৰ্গে মানুষে মানুষে ব্যবধান নেই ; এই দ্বারদেশে কি তারই পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে ? সন্ধ্যার সময় একটু বাইরে বেড়াতে গেলুম। সন্ধ্যার বাতাসে ১ বৎ স্নিগ্ধতার মধ্যে শরীর অনেকটা ভাল বোধ হোলো; আস্তে আ.৬ পাণ্ডুকেশ্বর মন্দির এবং আরও গোটাকতক ভাল মন্দির দেখে এলুম। দেখতে দেখতে আকাশে মেঘ কোরে এল ; আমরা কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘরের মধ্যে “াশ্রয় নিলুম। অল্পক্ষণের মধ্যেই ভয়ানক শিলাবৃষ্টি আরম্ভ হলো, শীতে আমরা আড়ষ্ট হোয়ে পড়লুম-ভাগ্যি আমরা আগেকার সেই দোকান ঘরটা ছেড়ে এসেছি তাই রক্ষা, নতুবা আজ মারা পড়ার আটক ছিল না। যতক্ষণ জেগেছিলুম। বৃষ্টি একবারও থামেনি। রাত্রে আর কিছু আহারাদি হােলো না, বেশ আরামের সঙ্গে রােত কাটান গেল। স্বামীজি বোলেছিলেন, আগামী কল্যই আমরা বদরিকাশ্ৰমে পৌছুতে পারবো। সেই কথা শুনে পৰ্য্যন্ত আমার বড় আনন্দ হোয়েছিল ! এত কষ্ট, এত পরিশ্রম,