পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্রমে აჯხა ছোট পাথরের ঘর, তার একটা বারান্দা বের করা ; আর তার পাশেই সম্মুখ দিক খোলা আর একটা ছোট ঘর। শুনলুম, এ ঘর চটওয়ালার নয় ; সে এক দেবতার ঘর । দু' চার দিনের মধ্যেই দেবতাটি নীচে হোতে এখানে এসে তার সিংহাসন দখল কোরে বোসবেন এবং পুণ্যপ্রয়াসী যাত্রীদের আর এক দফা খরচ বাড়বে। এই চটিতে বেশী ঘর না থাকার কারণ জিজ্ঞাসা কোরে জানলুম যে, এখানে কোন যাত্রীই থাকতে চায় না। বদরিকাশ্ৰম । এখান হোতে মোটে চার মাইল ; বদরিনারায়ণ ছেড়ে এই সামান্য দূরে এসে কে আরাম বিরাম বা আহারাদি কোবুবে ? অার নারীঘুণ দর্শনার্থীর মধ্যেই বা কে সাত गभूद्ध তের নদী পার হোয়ে এসে এই চার মাইলের জন্যে এখানে বোসে থাকবে ? তীর্থযাত্রীদের মধ্যে এমন প্রায়ই দেখা যায় না, যারা মন্দিরের দ্বারে এসে দেবতার শ্ৰীমুখপঙ্কজ না। দেখে সিড়ির উপর বোসে অপেক্ষা করে সুতরাং এখানে বেশী দোকান থাকার বিশেষ কোন দরকার নেই ; একখানা দোকান, তাই ভাল রকম চলে না । আর এই জন্যেই দোকানী তা ঐ দোকানে চাল ডাল বড় একটা রাখে না, কিছু পোড়া ( সন্দেশ ) বা পুরী সৰ্ব্বদা প্ৰস্তুত রাখে এবং দরকার হোলে প্রস্তুত কোরেও দিতে পারে ; যাত্রীরা প্রায়ই এখানে ছোলা ভাজ। পুরী ইত্যাদি জলখাবার কিনে নেয়। আমরাই বা এ সুযোগ ছাড়ি কেন ? এই দোকানে টাটুকা ভাজা পুরীর সুগোল পরিধি দর্শনে বৈজ্ঞানিক ভায়৷ বিশেষ লোলুপ হেয়ে উঠলেন। স্বামীজি বোল্লেন, “অচ্যুত, আজ আমাদের মহা আনন্দের দিন ; এমন দিন মানুষের ভাগ্যে বড় কম ঘটে, আর অল্পক্ষণ পরেই আমাদের জীবন সার্থক হবে। আজ মনের আনন্দে এখানে আঠােরাদির আয়োজন কর।” অচ্যুত ভায়াকে এ কথা বলাই বাহুল্য ; এক্ষে নিজের ষোল আনা ইচ্ছ, তার উপর স্বামীজির অনুমতি, ভায়া উৎসাহে হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন। র্তার সে দিনের সেই উৎসাহ দেখে মনে হোয়েছিল ভায়া যদি ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে সর্বদা এমন উৎসাহ প্ৰকাশ কোবৃতেন