পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

» ዓ &ኃ श्भिाब्लग्न বেশ যখন প্রকাশিত হয়ে পড়লো, তখন “চুপ চুপ গোল মং করে” ব্লবে চারিদিকে গোল বেড়ে গেল, সুতরাং মহারাজ আর আত্মগোপন কৰ্ত্তে পাল্লেন না ; শেষে অনেক দান ধ্যান হলো, ব্ৰাহ্মণ লোকেরাও বহুত জিনিস লাভ কল্লে ; অবশেষে মহারাজ স্বস্থানে প্ৰস্থান কল্লেন । পাণ্ডাজীর গল্প শেষ হতে না হতে আর একজন পাণ্ডা। আর এক গল্প আরম্ভ কলে, তার গল্পটা। এই রকম, তবে প্ৰভেদের মধ্যে যে এতে যেমন মহারাজের অমাত্যগণ এসে তাকে নিয়ে চল্পেন, ত'তে সে রকম কেহ আসেন নি, মহারাণী স্বয়ং এসেছিলেন, কিন্তু তিনি মহারাজের মৃতদেহ ভিন্ন তঁকে জীবিত দেখতে পান নি, সুতরাং এখানে শ্ৰাদ্ধ দান ধ্যানাদি সমাপ্ত কোরে, হরকোপানলে মদন ভস্ম হলে রতি যেমন শূন্য প্ৰাণে পতির মৃতদেহ ত্যাগ কোরে বিলাপ করতে করতে সুরপুরে ফিরে গিয়েছিলেন, রাণী তেমনি স্বরাজ্যে ফিরে গেলেন। পাণ্ড ও ব্রাহ্মণের যে এই রকম কোরে মধ্যে মধ্যে চৰ্ব্বা চোষ্য আহার ও প্রচুর দক্ষিণা লাভ করে তারা তা আমাকে জানাতে ক্ৰটী কল্পে না । আমি ত তাদের কথায় এই বুঝলুম যে “তুমি এক জন ছদ্মদেশী মহারাজা, আমরা নারায়ণেব কপাবেলে তোমা” চিনেছি, আর গোপন কৰ্ত্তে পারবে না, এখন আমাদের কি দেবে তা ঔ।” আমি কিন্তু এদের অতি স্তুতিবাদে ভারি বিপন্ন হয়ে পড়েছিলুম। আমার সেই অপরিচ্ছন্ন ঝাঁকড়া চুল, ছিন্নবস্ত্র ও জীৰ্ণ কম্বলের মধ্যে হতে তারা কিরূপে যে রাজা রাজড়ার গন্ধ আবিষ্কার কল্পে, তা আমি অনুমান কৰ্ত্তে পালুম না। তার চেয়ে বরং স্বামীজির তেজোময় শরীর, আভুমিচুম্বিত দাড়ি,গৈরিক বসন, গৈরিক আলখেলা এবং গৈরিক থানের প্রকাণ্ড পাগড়ীতে আবৃত মস্তক দেখলে তার মধ্যে একটা মহারাজা সংগুপ্ত আছে এমন বিবেচনা করা নিতান্ত অসঙ্গত ততো না । যাহোক ক্ৰমে যখন আমরা বদরিক, শ্রমের অত্যন্ত কাছে এলুম, তখন ধীরে ধীরে পাণ্ডার দল পুষ্টি হতে লাগলো এবং তারা নিজেদের বাহাদুরী দেখিয়ে আমাকে কড়াকড়ি