বদারিনাথ । y কাড়ি করবার উপক্রম করে ; ক্রমে তাদের মধ্যে মুখোমুখী ছেড়ে শেষে হাতাহাতি হয় দেশে আমার ভারি ভয় হলো । আমি তখন উপায়ান্তর ন। দেখে আমার মুষ্টিযোগ ত্যাগ কলুম ; বোল্লাম আমার পাণ্ডা, লছমীনারায়ণ । জানতুম লছমীনারায়ণ বয়সে প্ৰায় সকল পাণ্ড অপেক্ষা ছোট হলেও সম্মানে, অর্থগৌরবে অন্য সকল প। গুগকে ছাড়িয়ে উঠেছিল। লছমীনারায়ণই এই মহাধৰ্ম্মাশ্রমের আখড়। ধারা, এ সাগরে সেই কর্ণধার; সুতরাং ত{ার নাম বলাবামাত্র অন্যান্য পাণ্ডাদের উৎসাহ একেবারে নিবে গেল । তখন তারা অন্য উপায় না দেখে, “ব্ৰাহ্মণ আশীৰ্ব্বাদ কোরবে তাতে মঙ্গল হবে।’ ইত্যাকার ধুয়া ধরে কিঞ্চিৎ আদায়ের চেষ্টা দেখতে লাগলো। আজ এই মহাতীর্থে প্ৰবেশ করবার সময় এতগুলি ব্ৰাহ্মণকে নিতান্ত নিরাশ করা বড় ভাল দেখায় না। মনে কোরে মিষ্ট বাক্যে তাদের কিঞ্চিৎ অংশ দিয়ে পুরী প্রবেশ কোল্লাম। বদারিনাথ । ২৯শে মে, শুক্রবার—কাঠের একটা সাকো দিয়ে অলকানন্দ পাের হেয়ে ধীরে ধীরে বদরিনাথে প্ৰবেশ কলুম। আঘাতের পর প্ৰে তঘাত স্বাভাবিক নিয়ম ; বদরিনাথের পথে যখন চলছিলুম, তখনকার সেই উৎসাহ, আগ্ৰহ, মনের ভয়ানক আবেগ, অভীষ্ট স্থানে এসে সে সমস্তই যেন সংযত হোয়ে গেল। এই রকমই হেয়ে থাকে। পথে যখন অবিশ্ৰান্ত সংগ্রাম কোৱতে হোয়েছে, তখন মনে হেয়েছিল, এই নিদারুণ যুদ্ধের অবসানে এমন একটা কৰ্ম্মশীলতার মধ্যে গিয়ে পড়বো, যেখানে পূজাৰ্চনার অবিরাম কলরবে, মানব-হৃদয়ের সুখ-দুঃখ ও হর্ষ-লোকের বিপুল উচ্ছাসে এক সুগভীর কল্লোল উত্থিত হােচ্ছে। নদীর জলপ্রবাহ সমুদ্রের ফেনিল উৰ্ম্মিরাশির নির্বাধ নৃত্যের মধ্যে মিশে যেমন হারিয়ে যায়, সেইরূপ হিন্দুর মহাতীর্থে নারায়ণের পুণ্য পীঠতলে, SR