পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s ዓ b” श्थिान দেবমহিমার এক অনন্ত প্রশান্তির মধ্যে, আমার এইক্ষুদ্র-জীবনের ব্যাকুল বাসনা ও অশান্ত উদ্বেগও সমাহিত হবে। কিন্তু এখানে পৌছে কেমন নিরাশ হোয়ে পোড়লুম। বদরিনাথে প্ৰথম প্ৰবেশ কোরই চারিদিকে একটা নিরুদ্যম, একটা উদাসীন ভাব চোখের সম্মুখে পড়লো। মনে হোলো এ উদাসীনতা বুঝি হিন্দুধৰ্ম্মের মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে বিজড়িত।, তীর্থযাত্রীদের উদ্যম উৎসাহে কি হবে, একটা অলস কৰ্ম্মহীনতা তীর্থস্থানে যেন চিরস্থায়ী রকমের অর্ডা বেঁধেছে । অলকানন্দ অতি নিরুদ্বেগে মন্থর-গমনে বরফ রাশির নীচে দিয়ে চোলে যাচ্ছে ; সহরের অধিকাংশ ঘর বাড়ী এখন পৰ্য্যন্ত ও বরফের তলায় পড়ে আছে। যে কয়খানা ঘর দেখা যাচ্ছে, তাদের অবস্থাও অতি শোচনীয়। তাহা কতক বরফের প্রসাদাৎ, আর কতক আমাদের পূর্বাগত সন্ন্যাসী মহাশয়দের কৃপায়, আর কতকগুলি ঘর এই তিন বৎসর কাল ধোরে বন্ধ থাকা বশত: ; সন্ন্যাসী মহাশয়রাই ক্ষতি করেছেন কিছু বেশী। ঘরের দ্বার জানালাগুলি বেবাক অন্তহিত হোয়েছে ; অবশ্য সেগুলো যে সশরীরে স্বৰ্গে গিয়েছে, তা স । যে সকল সন্ন্যাসী সর্বপ্রথমে এখানে এসেছিলেন, তারা দেখেছি না। তখনও হাট বাজার বসেনি, সুতরাং জালানি কাঠ পাওয়া অসম্ভব ; তাই আপনাদিগকে শীতের হাত থেকে পরিত্রাণ করুবার জন্যে এই সমস্ত জানালা দরজা ব্ৰহ্মাকে উপহার দিয়েছেন, এবং তীৰ্থস্থানে এসে পরেন জিনিষপত্ৰ নাশ কোরে “আত্মানং সততং রক্ষেৎ” এই মহানীতি-কাব্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করবার জন্যে তাদের মহৎ হৃদয় যে কিরূপ ব্যাকুল হোয়ে উঠেছিল- এই সমস্ত জানালা দরজার অভাব তার প্রত্যক্ষ প্ৰমাণ। কিন্তু পরে যে সকল যাত্রী আসবে, তারা এই বরফ-রাজ্যে এসে এদের অভাবে যে কত কষ্ট পাবে, এ কথা চিন্তা করুবার বোধ করি তাদের অবসর হয় নি।