পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ, σ. 8 i হিমালয় পাওয়া যায়, তবে আমি আমার কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি। পাহাড়ের মধ্যে এসে অনাবশ্যক বহুবিধ দরকারী জিনিসের কথা একেবারে ভুলে গিয়েছিলুম ; আবশ্যক বোধ হােত মোটা, ভাল ঘি, লবণ, লঙ্কা, আর কাঠ। আর বাঙ্গালী মানুষ অনেকদিন উ র ডাল রুটির শ্ৰাদ্ধ কোরতে কোরতে এক এক দিন চাটি ভাতের জন্যে প্ৰাণ আকুল হোয়ে উঠতো, সুতরাং মধ্যে মধ্যে চাউলের খোজ ও যে না হোতে, এমন নয়। তার উপর যে দিন বড়ই নবাবী করবার প্রবৃত্তি হোতে, সে দিন গোটা দুই চারি “ পেড়ার” (সন্দেশ) আয়োজন করা যেতো, কিন্তু এ রকম দুঃসাহস প্ৰকাশ কোন্তে প্রায়ই ভরসা হোতো না। —কারণ, সে সকল সন্দেশের জন্মদিন স্থির কোর্তে হোলে বহুদৰ্শী প্রত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতকে যত্নপূর্বক ইতিহাস অনুসন্ধান কোর্ল্ডে হয় ; কত কীটই যে তার মধ্যে বাস। কেঁ "পু বংশানুক্ৰমে বাস কোরছে তার ঠিক নেই। এখানে যে কয়খান দোকান আছে, তার সকল গুলিতেই কিছু না কিছু খাদ্য দ্রব্যের যোগাড় থাকে, আর প্রত্যহ ছাগলের পিঠে বোঝাই দিয়ে অনেক জিনিসের আমদানীও হয় । আমাদের দেশে যেমন গাড়ী কি বলদ বা ঘোড়ার উপর জিনিসপত্র চাপিয়ে একস্থান থেকে অন্য স্ম নে নিয়ে যাওয়া হয়, এ দেশে সে রকম হবার যে নেই। পাহাড়ে ঘোড়া হোক আর বলদই হোক, এই সকল দুৰ্গম পথে তারা বোঝা বইতে সম্পূর্ণ অশক্ত । একে পথ দুরারোহ, তার উপর এত সংকীর্ণ যে, বৃহৎকায় পশু সে সকল পথে চলা ফেরা কোরতে পারে না, আর যদিই বা তা সম্ভব হয় তা শীঘ্রই তারা হঁাপিয়ে পড়ে। ক্ষুদ্রকায়, কষ্টসহ ছাগল জাতিই এ পথের একমাত্র অবলম্বন এবং তাদের উপরই এ দেশের লোকের জীবন নির্ভর কোরছে। বাঙ্গালা দেশে যখন ছিলুম, তখন জানতুম, মা দুর্গার কাছে বলি দেওয়া ছাড়া ছাগলের ছাগজন্ম সার্থকের আর কোন পথ নাই, এমন কি ছাগমাংসে উদর পরিতৃপ্তির আশায় মুগ্ধ গুপ্ত কবি লিখে গিয়েছেন “এমন পাঠার নাম যে রেখেছে বোকা, শুধু সেই বোকা নয়। তার ঝাড়ে বংশে বোকা ।” উদর