পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিনাথ হয় না, সুতরাং তার উপরের দিকে ময়লা ধরবার অতি অল্পই সম্ভাবনা । কিন্তু আর বেশী দিন বে-মোবামত অবস্থায় রাখা উচিত নয় ভেবে মন্দিরাধ্যক্ষ এর মেরামত আরম্ভ কোরছেন। তবে কত দিনে যে এই কাজ শেষ হবে, কখনও হবে কি না, তা ভবিষ্যৎ জ্ঞান না থাকুলে শুধু অনুমানের উপর নিভার কোরে বলা ভারি শক্ত । হয় ত মেরামত শেষ হোতে ন! হোতে আরও দুচার জন মোহন্তের জীবনকাল কেটে যাবে ; কারণ। একে ত বছরে দু'তিন মাসের বেশী কাজ হবার যো নেই, তার উপর থে রকম “গদাই লস্কর” ভাবে কাজ চোলচে, তাতে এক দিক গোড়ে তুলতে। আর একদিক ভেঙ্গে না পড়ে। হায় কলিকাল । স্বয়ং বিশ্বকৰ্ম্ম থাকতে । নারায়ণের মন্দির মেরামতের জন্যে আজ কিনা সামান্য রাজমিস্ত্রীরা তাদের দুৰ্বল হাতে ছোট ছোট পাথরের চাপ নিয়ে টানাটানি কোরুচ এবং যতটুকু কাজ কোরছে তার চেরে অনেক বেশী পয়সা ফাকি দিয়ে খাচ্ছে, - এদের নরকে ও স্থান হবে না । এখন পৰ্য্যন্তও অদৃষ্টে নারায়ণ দর্শন ঘটেনি ; কিন্তু বাল্যকাল হোতে। শুনে আসছি, বদরিকাশ্রমের নারায়ণের মূৰ্ত্তি পরশ-পাথরে নিৰ্ম্মিত । স্পর্শমণি উপকথার বস্তু, এবং কল্পনা ও কবিতাতে কখন কখন তার। শক্তি অনুভব করা যায় বটে, কিন্তু এই পৃথিবীতে যদি সে রকম একটা জিনিসের অস্তিত্ব থাকতো, তা হোলে এই ঘোর জীবনসংগ্রামের দিনে অনেকের পক্ষে সুবিধার কথা ছিল। বাটাবিভ্রাটের ভয়টা ত , কোমে যেতই, তা ছাড়া ইনকমট্যাক্সের জন্য ও এতটা কষ্ট পেতে হোতো । না, এবং অনাহারে থেকে ভদ্রতার দণ্ডস্বরূপ ঘটি বাটী বিক্রয় কোরে ট্যাক্স দেবার দায় হোতেও অনেকাংশে নিষ্কৃতি পাওয়া যেত। কিন্তু । কবিতা ও কল্পনাতে যা মেলে, এ নিস্ফলতার পৃথিবীতে তা কোথা, হোতে মিলবে ? দেশে থাকৃতে কতদিন শুনেছি, কখন ঠাকুরমার কাছে কখন বা বাচস্পতি মহাশয়ের বক্ত। তাতে যে,-হিমালয় পৰ্ব্বতে এমন