পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bም'ኳ 点 হিমালয়, বদরিনাথে একটী মন্দির আছে, মন্দিরটীি দেখতে তাত পুরাতন বলে বোধ হয় না ; তবে যে অল্পদিনের তাও নয়। মন্দিরের বাহিরে চার পাশে সামান্য একটা উঠান। এই উঠানের চারিদিকে একটা এক মহল ছোট চক, তাতে অনেক ছোট খািট দেবতার অধিষ্ঠান আছে। নারায়ণের সঙ্গে এই সকল (দবতার কোন পার্থিব সম্বন্ধ নেই, এগুলি পাণ্ডা ঠাকুরদের রোজগারের অবলম্বন মাত্র। নারায়ণের প্রাঙ্গণে যখন এদের স্থান হোয়েছে, তখন এরা মাহাত্ম্য অংশে নিতান্ত খাট নয়, এই হেতুবাদে পয়সাওয়ালা অনেক যাত্রী এই সকল বিগ্রহের মাথায় দুই এক পয়সা, চড়ায় ( অর্থাৎ প্ৰণামী দেয় ) । মন্দির-প্রাঙ্গণে প্ৰবেশ করবার একটা দ্বার আছে, তার কবাট অতি প্ৰকাণ্ড । মন্দিরটি আমাদের দেশের মন্দিরের মতই। মন্দিরের গায়ে বিশেষ কোন কারুকাৰ্য্য দেখলুম না ; আমাদের দেশের সাধারণ মন্দিরগুলি যে রকমের বৈচিত্ৰ্য-বিহীন, এও তাই ; তবে দেবীমাহান্ত্র্যেই এর মাহাত্ম্য এত বেশী। উচুতে কালীঘাটের মন্দির চেয়েও খাট বলে বোধ হোলো, তবে এটি আগাগোড়া পাথরে গাথা- এ পাথরের রাজ্যে পাথরের উপর যে মন্দির নিৰ্ম্মিত, তার পক্ষে এটা কিন্তু আশ্চৰ্য্য কথা নয়, বরং ইষ্টকনিৰ্ম্মিত হোলেই একটু আশ্চৰ্য্য হবার কাল আকৃতে । এদিকে যত মন্দির দেখলুম, সকল গুলিই পাথরে গাথা । মন্দিরটি জীর্ণ হেয়েছে; কিন্তু উপরেই বোলেছি বাহাদৃশ্যে তেমন জীর্ণ বোলে বোধ হয় না । সকলের বিশ্বাস এ মন্দির শঙ্করাচার্য্যের প্ৰতিষ্ঠিত। এ কথা অবিশ্বাস করবার কোন কারণ নেই, ইহা বহু প্রাচীন জন প্রবাদ, এবং তার কতক প্রমাণও যে নেই এমন নহে। কিন্তু মন্দিরটি দেখলে কেহই বিশ্বাস কোরবেন না যে, এটা শঙ্করাচাৰ্য্য প্ৰতিষ্ঠিত, এমন আধুনিকের মত দেখায়! আমি প্রথমে একটু আশ্চৰ্য্য হোয়েছিলুম, কিন্তু পরে ভেবে দেখলুম যে, মন্দিরটি বছরের মধ্যে আট ন” মাস। বরফের নীচে ঢাকা থাকে, রৌদ্র বৃষ্টির সঙ্গে বড় একটা দেখাসাক্ষাৎ