পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্ৰমে নারায়ণ দর্শন Σ, δι সৰ্ব্বশ পাথরে নিৰ্ম্মিত বোলে যে প্ৰবাদ আছে, বৈদান্তিকের মতে তার মাধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা থাকলেও আমার বোধ হোলো নির্জন দেবালয়ের , বা তা যে বরফ রাশির মধ্যে আপনার নিতৃত সিংহাসন স্থাপন কোরেছেন, সেখানে এত হেমােভরণ, স্তু পাকার মণিমুক্তার উজ্জ্বল বিকাশ দেখে সাধারণে বিশ্বাস কোরে নিয়েছে, দেবতার দেহ পরশমণি-নিৰ্ম্মিত ! যা হোক বদরিনারায়ণের এই বহু মূল্যবান অল*|ব প্ৰাচুৰ্য্য দেখে আশ্চৰ্য্য হবার কোন কারণ নেই 'আমাদের দেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রাম্য বিগ্ৰহসুন্দরই কত লোকে কত মূল্যবান অলঙ্কারাদি উপহার দেয়। বদরিকাশ্ৰম ভারতের শ্রেষ্ঠ তীর্থ ; বদরিকাশ্রমের নারায়ণের মহিমা নিখিল দেব-মহিমার উপরে, সুতরাং নানা দেশ-বিদেশের রাজগণ বদরিনাথকে কত মূল্যবান দ্রব্য উপহার দিয়েছেন ২ তার সংখ্যা নেই। তার উপর গাড়োয়াল যখন | স্বাধীন ছিল, তখন গাড়োয়ালের রাজ। প্রায়ই নারায়ণকে বহুমূল অলঋারাদি উপহার দান কোরেছেন । মন্দির মধ্যে দেখলুম, শুধু নারায়ণ একা নেই, আর ও দু’চারটি অতিথি অভ্যাগত বিগ্ৰহ আছেন ; কিন্তু তার নারায়ণের উজ্জ লৈ প্ৰভায় কিঞ্চি ২ নপ্রভ হোয়ে পোড়েছেন! তাদের দিকে দৃষ্টি ও সহসা আকৃষ্ট হয় না । আমাদের সঙ্গে আরও অনেক যাত্ৰী মন্দিরের মধ্যে প্ৰবেশ করেছিল ; আমার হৃদয়ে যত ভক্তির না। উদ্ৰেক হোক, এই সকল সমাগত যাত্রীদের ভক্তি ও নিষ্ঠ দেখে আমি মোহিত হোয়ে গেলুম, আমার হৃদযে এক স্বৰ্গীয় ভাবের উদয় হোলো। আমার কাছেই একটা বুদ্ধা দাড়িয়েছিল ; সে বড় কষ্টে নারায়ণ দশন কোত্তে এসেছে। পা একেবারে ফুলে গিয়েছে, পড়িাবার শাক্ত নেহ, তবুও প্রাণপণ শক্তিতে একবার দাড়িয়ে নারায়ণের শ্ৰীমুখ নিরীক্ষণ কোবুচে; তার মুখে এমন উজ্জল প্রফুল্ল, ভাব, চক্ষে এমন শিম্পন্দ সতৃষ্ণ দৃষ্টি এবং একাগ্ৰতা যে, বোধ হোলে৷ শারীরিক যন্ত্রণার কথা একটুও তার মনে নেই। তার যেন মনের ভাব, তার সকল কষ্ট দুঃখ এবার