পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাসগুহ। R o VO" আমাদের যখন এই রকম তর্কবিতর্ক চেলছিল, সেই সময় সেখানে দু-চার জন প্রৌঢ় পাণ্ডা উপস্থিত ছিলেন ; আমরা ব্যাসগুহা দেখবার জন্য উৎসুক হেয়েছি শুনে তারা সকলেই ভারি বিস্ময় প্রকাশ কোরে বোল্লেন, সোখেনে যাবার কোন রকম বন্দোবস্ত নেই ; অলকানন্দ পাের হোতে হবে, কিন্তু কোথাও সাকো নেই ; নদী জোমে শক্ত হোয়ে গিয়েছে ; তারই উপর দিয়ে অতি সন্তৰ্পণে কোন রকমে পার হোতে হবে ; হঠাৎ একটা চাপ বোসে গিয়ে সব শুদ্ধ ডুবে যাওয়ার কিছুমাত্র আটক নেই। একজন পাণ্ড বোল্লেন, কিছু দিন আগে একজন অলকানন্দ পাের হোতে গিয়ে বরফ ভেঙ্গে ডুবে গিয়েছিল। অতএব সেখানে যখন দেখবার যোগ্য কিছু নেই, তখন এত কষ্ট কোরে যাবার কি এত আবশ্যক ? আমরা কিন্তু এ মুক্তিতে কৰ্ণপাত কোল্লাম না, এবং বলা বাহুল্য এই রকম যুক্তি অনুসারে চোলালে আর এতদূর পর্য্যন্ত অগ্রসর হবার সম্ভাবনাই থাকতো না । বরাবর এই একটা আশ্চৰ্য্য ব্যাপার দেখে আসা যাচ্ছে যে, যে সমস্ত য’ত্রী তীর্থভ্ৰমণ কোঁবুতে অ্যাসে, তারা শুধু দেবমন্দির ও দেবতা ছাড়া আ র ‘কছুতেই মনোনিবেশ করে না। হয় তো তারা সেটা বাহুল্য জ্ঞান করে ; *: হয়, একমনে এক প্ৰাণে অভীষ্ট দেবতার চিন্ত তেই তারা তন্ময় হোয়ে 2. সক, এবং তাতেই তারা এমন নিবিষ্টচিত্তে পথ চলে যে, চতুর্দিকে আর ধ। কিছু দেখবার আছে, তার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপের অবসর পায় না ; এ পণ্যন্ত কত তীর্থযাত্রীর সাজে দেখা হোলো ; তারা বাহা প্ৰকৃতির সৌন্দৰ্য্য, ঈ দিকের অভিনব দৃশ্য রাশির বৈচিত্ৰ্য সম্বন্ধে কোন কথাই বলে না। যা হোক আপাততঃ ব্যাস গুহার উদ্দেশেই রওনা হওয়া গেল । বাদসি কাশ্ৰম ত্যাগ কোরে চোলাতে আরম্ভ কোল্লাম। তিনটি প্রাণী পূর্বব ২। চলছি বটে, কিন্তু পথ অনির্দিষ্ট, আঁধিকতর দুৰ্গম এবং একান্ত নিৰ্জন । সোলতে চোলাতে কাচিৎ যদি কোন সাধু সন্ন্যাসীর সঙ্গে দেখা হয়, ত পথের কথা জিজ্ঞাসা কোলে সে একটু অবাক হোয়ে আমাদের দিকে চেয়ে