পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ・ケ श्शिाजभ আমরা কেহই বৈজ্ঞানিক নই ; কোন একটা সুন্দর জিনিস দেখলে তাকে বিশ্লেষণ না কোরে তার সৌন্দৰ্য্য উপলব্ধি কোরেই কেবল আমরা আননি, , হই। (জ্যাৎস্না-পুলকিত শুভ্ৰ শারদ যামিনীতে পূৰ্ণচন্দ্রের দিকে দৃষ্টিনিগে-প কোরে ক্ষুদ্র শিশু হােতে প্রেমিক কবি পৰ্যন্ত সকলেই সুপ্ত এবং তৃপ্তি অনুভব কয়ে ; চন্দ্ৰ কি বস্তু, দূরবীক্ষণ যন্ত্রে তাকে পর্যবেক্ষণ কোলে তার মধ্যে কতকগুলি পৰ্ব্বত-সাগর এবং মরুভূমি আবিস্কার করা যায়, তা বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিষয়, কিন্তু তার এই গবেষণা জনিত আনন্দ, শিশু ও কবির আনন্দ অপেক্ষণ অধিক কিনা তা কে বোলবো ? ইদানীং বৈজ্ঞানিকের প্ৰমাণ করারার চেষ্টা কোরচেন যে, মঙ্গল গ্রহে মনুষ্য অপেক্ষা উচ্চ শ্রেণীর জীবের বাস আছে। সেই সকল অপার্থিব প্ৰাণী ক্রমাগত লাল আলে। দেখিয়ে আমাদের পৃথিবীর মানুয্যের সঙ্গে আলাপ পরিচয় করবার চেষ্টা কোরচে। আর একজন কবি হয়ত সেই মঙ্গল গ্রহকে অন্যত্ব গগনোস্থানের একটি লোহিত কুসুম বোলে বিশ্বাস কোরেই সন্তুষ্ট। হয় তা এ ভ্রম ; কিন্তু কত সময় আমরা ভ্ৰান্তিতেই সন্তুষ্ট থাকি । আমাদের মত উদ্দেশ্যহীন জীবনের সুদীর্ঘ যাত্রাটাই কি ভ্রম নয় ? কিন্তু এ ভ্রম বিদ্যুৰিং করবার জন্য আমরা কিছুমাত্ৰ ব্যস্ত নই, বরং যখন একটা ভ্ৰম দূত এহায়ে যায়, আমরা স্বপ্ন হোতে হঠাৎ জেগে উঠি এবং কঠোর সত্যের অতিপরিস্ফটি কঠিন শিলাতলে নিক্ষিপ্ত হই, তখন শান্তির আশায় আর একটা অভিনব ভ্ৰমের কুহক রচনার জন্য আমাদের প্রাণ আকুল হোয়ে উঠে। যা হোক এ দার্শনিক তত্ত্ব এখানে থাক । ব্যাসদেবের আসন দেখতে দেখতে মাথার মধ্যে এতখানি দার্শনিক ভােব গজিয়ে তোলা অনেকেরই নিকট বাহুল্য বোধ হবে। আসন দর্শন ত্যাগ কোরে আমরা তিনজনেই গুহার মধ্যে প্রবেশ কোলাম। ব্যাসগুহার নাম শুনে ভেবেছিলুম, এ বুঝি একটা ছোট গুহা; তার মধ্যে ব্যাসদেব এবং বড় জোর তার লোটা কম্বল ধোরতে পারে ; কিন্তু গুহায় প্রবেশ কোরে দেখতে পেলুম,