পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ব্যাসগুহ। ܬ ܘ ܓ সে এক প্ৰকাণ্ড গহবর, তার মধ্যে এ ক-শ দেড়-শ লোক অনায়াসে । বোসতে পারে ; তার মধ্যে বিস্তীর্ণ দেওয়াল, তাতে যুগান্তরের কালী ও সোয়ার দাগ লেগে আছে । ব্যাসদেবের গুহা, কাজেই এখানে যাগযজ্ঞের অভাব ছিল না, এ হয় তা তারই ধোয়ার চিহ্ন ! আমি কল্পনাচক্ষে মহাভারতীয় যুগের হোম যজ্ঞ সমাকীর্ণ এই সুবিস্তীর্ণ আশ্রমে একটী *াগি পূর্ণ পবিত্ৰ তপোবনের চিত্ৰ দেখতে পেলুম। শুনেছি থিয়োজফিষ্ট মােগাশদের বলেন, এক একটা জায়গার বৈদ্যুতিক হাওয়া খুব ভাল ; সেই সেই জায়গা হিন্দুদিগের তীর্থস্থান। এ কথাটা কতদূর সত্য তা জানি নে ! এ জায়গাট যদিও তীর্থের লিষ্ট হোতে নিজের নাম খারিজ কোরেছে, তবু যে শান্তি, পবিত্রতা ও স্বৰ্গীয় ভােব এই গিরি-আ ক্ষুরালে সং গুপ্ত আছে, অনেক তীর্থে তা একান্তই দুল্লােভ । আমরা গুহার মধ্যে অনেকক্ষণ বোসে রইলুম, পৌরাণিক স্মৃতির তরঙ্গ আমাদের প্লাবিত কোরিতে লাগলো - এমন স্থানে এসে কি গান না কোরে থাকা যায় ? স্বামীজি আমাকে গান কোরাতে অনুরোধ কোল্লেন, এবং নিজেই আরম্ভ কোল্লেন ‘মিটিল সব ক্ষুধা, তাহারই প্ৰেম সুধা, চল রে ঘরে লোয়ে যাই ।” পথশ্রমে এই দারুণ ক্লান্তির পর ভাঙ্গা গলাতে গুহা প্ৰতিধ্বনিত কোরে এই গানটি বার বার গাওয়া গেল ; এমন মিষ্টি লাগলো যে, নিজেরাই মোহিত হোয়ে পড়লুম। র্যারা ভাল গায়ক তঁরা এখানে গান আরম্ভ কোলে বুঝি পৃথিবী স্বৰ্গ হোয়ে যায় ! আমি দুই এক পালটা গেয়ে ছেড়ে দিতে চাই, স্বামীজী আবার আর একটা আরম্ভ করেন। আমাকে আবার গাইতে হয়, তার ক্ষুধা যেন আর মোট না ; শেষটা তাকে দেখে বোধ হোল, তার যেন কিছুতেই তৃষা মিটুলো না । “لم :۔' আমরা এই ভাবে অনেকক্ষণ কাটিয়ে দিলুম। বেলা ১টা বেজে গেল, আমার বেশী দেরী কোবুলে পথে কোন বিপদে পোড়তে পারি মনে কোরে