পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tY- হিমালয় གན་ দু’খানা বঁাশ পুতে তার উপরে একটা বঁাশ ফেলে খানিক উপরে আর একটা বঁাশ বেঁধে দেওয়া হোতে ; সকলকে সেই নীচের বঁাশে পা দিয়ে উপরের বঁাশ ধোরে ধীরে ধীরে সেই কর্দমাক্ত স্থান পার হোতে হোত । হঠাৎ হাত কি পা ফসকে গেলে সেই মহাপঙ্কে একেবারে নিমজন ছাড়া অন্য গতি ছিল না । লছমন-ঝোলার গল্প শুনে অবধি, আমরা এই অপরূপ সাকোর নাম রেখেছিলাম, লছমন-ঝোল। । তখন কি একবার স্বপ্নে ও ভেবেছিলাম। আসল ‘লছমন-ঝোলাও অামাকে পার হোতে হবে ? কিন্তু এখন র্যার। লছমন-ঝোল! দেখবেন, তঁরা পূৰ্ব্বে লছমন-ঝোল। কি রকম ছিল, তা বুঝতে পারূবেন না। অতএব সে কালের ঝোলার একটু সংক্ষেপ বিবরণ দিচ্ছি। প্ৰথমে একটা দড়ির সিড়ি প্রস্তুত কারতে হয় । খুব মোটা দু’গাছা দড়ি সমান্তরাল ভাবে বসিয়ে তার মাঝে মাঝে সিডিতে যেমন পা দেওয়ার জন্যে কাঠ থাকে, তেমনি ছোট ছোট শক্ত কাঠ বেশ ভাল কোরে বেঁধে সেই দড়ির সিড়িগাছটা দুই পারে বেশ কোরে আটকাইয়া, দেয় । তার উপরে প। দিয়ে পাৱ হোতে হয় এবং হাতে ধরবার জন্য নীচে যেমন, উপরে ও সেই রকম দুটো শক্ত রশি। এপার হোতে ওপারে বেঁধে দেয় । সেই রািশ ৫ টো দুই কুক্ষর মধ্যে দিয়ে দু'হাতে পোরে ধীরে ধীরে তা : র হোতে হয়। এখন একবার মনে করুন, ব্যাপারটা কি ভগ্নানক ' ", e. কুক্ষির মধ্যে দুই রাশি আর পা সেই রশি নিৰ্ম্মিত সিড়ির উপর ; পায়ের তলায় চারু পাচশে। হাত নীচে ভয়ানক বেগবতী গ* { ! একবার কোন রকমে পা পিছলে গেলে আর রক্ষা নেই ! প্রথমে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ বেশ ঝলতে পারা যায় বটে, কিন্তু পা আবার যথাস্থানে স্থাপন করা অতি কম লোকের ভাগ্যেই ঘটে । আরো এক ভয়ানক কথা এই যে, এই রকম ঝোলার উপর দিয়ে একটু গেলেই পা এমন ভয়ানক দোলে যে, হাত প! ঠিক রাখা দুরূহ হোয়ে পড়ে। প্রতিক্ষণেই মনে হয়, এইবারই হয়ত পোড়ে যাবে। লছমন-ঝোলা । y