পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰত্যাবৰ্ত্তন R8 দোষে হয় তা অনেক নির্দোষী বেচারা তার হাতে অনেক যন্ত্রণ সহ করবে। অনেক অসাধু লোকের এ রকম স্বভাব যে, যদি তারা নিজের কৰ্ম্মের জন্যে কারও কাছে নিগ্ৰহ ভোগ করে, তা হলে আর পাচটা নিরীহ লোককে নিগৃহীত করতে না। পারলে তারা কিছুতেই শান্তি পায় *{{ ; যতক্ষণ সে রকম কোন সুবিধা না পায়, ততক্ষণ মনে করে তার DDBDDB D DBDBDB BDDBD DDBD SSDBDBD S এই সকল কথা ভাবতে ভাবতে এবং তৎসম্বন্ধে বৈদাস্তিক ভায়। ও স্বামীজীর সঙ্গে রহস্যালাপ কৰূতে কবুতে আমরা অপরাত্নে পৰ্ব্বতগাত্রস্থ সঙ্কীর্ণ পথ ধরে চলতে লাগালুম। তখন ও সূৰ্য্য অন্ত যায় নি। ১। সূৰ্য্য ধূসর পাহাড়ের অন্তরালে খানিকটে ঢলে পড়েছিল, এবং তার লাল আভা পাৰ্বত্য গাছপালার উপর দিয়ে আকাশের অনেক দূর পঘা ? ছড়িয়ে পড়েছিল। অল্পক্ষণ পরে আকাশের পশ্চিম দিগন্তে একটু মেঘ দেখতে পেলুম, সুযাস্তের পূৰ্ব্বে নীল আকাশের লোহিতাভ প্রদেশের ‘অতি উৰ্দ্ধে দুই একটা কালে পাখী যেমন ছোট দেখায়, তেমনি ক্ষুদ্র একখণ্ড মেথ,-ক্ৰমে মেঘখানি বড় হতে লাগলো, শেষে মোড় ঘুরে দেখি সম্মুখে পাহাড়ের উপর মেঘের দল সার বেঁধে দাড়িয়ে গেছে ; বোধ ঠল যেন তারা পরামর্শবদ্ধ হয়ে কোন আগন্তুক শত্রুর প্রতীক্ষা কচ্ছে . আমরা বৃষ্টির জন্যে প্ৰস্তুত ছিলুম না । সন্ধ্যার প্রাক্কালে দুৰ্গম, দীর্ঘ পথের উপর সহসা এ রকম ঘনঘটা দেখে মনটা বড় অপ্ৰসন্ন হয়ে উঠলো, ভাবলুম আর যাই হোক দারোগার শাপটা হাতে হাতে ফলে গেল । দেখছি কলিযুগেরও কিছু মাহাত্ম্য আছে ; সত্যযুগে শুনেছি ব্ৰাহ্মণ যোগী ঋষির শাপে অগ্নিবৰ্ষণ হতো, ব্ৰহ্মতেজে অভিশপ্ত ব্যক্তি দগ্ধ হয়ে যেতো, আর এই কলির শেষে মুসলমান দারোগার শাপে বুঝি অজস্র বৃষ্টিধারী ২ আমরা ভেসে যাই । এখন কোথায় আশ্রয় নেওয়া যায়, এই চিন্তায় শ'-' ব্যাঞ্চল হয়ে উঠলো ।