পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sy হিমালয় কিন্তু এখানে আশ্ৰয় জুটানও বড় সহজ কথা নয়। এ সহর অঞ্চলের পথ নয় যে, ঝড়বৃষ্টির উপক্রম দেখলে কোন বাড়ীর দ্বারে আশ্রয় নেব । একবার পথে বেরুলে সহজে গ্রাম নজরে পড়ে না, যদি দুই বা চাবি ক্ৰেণশ্য অন্তর এক আধখান গ্ৰাম দেখা যায়, সে গ্রাম আর কিছুই নয়, পােচ সাত কি বড় জোর দশ খানি কুটীরের সমষ্টি মাত্র। গোটাকতক মহিষ, ছাগল আর জনকতক স্ত্রী পুরুষ এবং তাহাদের ছেলে মেয়ে এই গ্রামের অধিবাসী । যে কয়খান কটীর, তা হয় তা তাদের নিজের ব্যবহারের জন্যই যথেষ্ট নয় । এই পথে চোলাতে চোলাতে অনেক সময় বিপদে পোড়ে এ রকম গ্রামে গৃহস্থের ঘরে আশ্রয় নিতে হোয়েছে, কিন্তু ঘরে আশ্রয় নিয়ে সমস্ত রাত্ৰি বাহিরেই কাটিয়েছি। আমাদের দেশে একটা কথা আছে ; একবার একজন লোককে জিজ্ঞাসা করা হোয়েছিল যে, সে এতটা পথ কি রকম কোরে এল, তাতে সে লোকটা উত্তর কোরেছিল যে, “নৌকাতেই এসেছি, তবে সমস্ত রাস্তাটা গুণ টেনে। আমাদের এ পাৰ্ব্বতা আশ্রয় ৪ ঠিক সেই রকমের ; গৃহস্থের ঘরে আশ্রয় পাওয়া গিয়েছিল বটে, কিন্তু সমস্ত রাত্ৰি অনাবৃত আকাশতলেই কাটাতে হোয়েছে। কেউ মনে কোরবেন না যে, আমি গ্রামবাসীদের আতিথেয়তার দো” (চ্ছি, তারা রাস্তবিকই অত্যন্ত আতিথেয়। পাৰ্ব্বত্য গৃহস্থ দুৰ্গম হিমালয়ের নিভৃত্যু বুকের মধ্যে মাঝে মাঝে দেখতে পাওয়া যায়, তাই অনেক যাত্রীর প্রাণরক্ষণ হয় । বাস্তবিক যদিও তারা গরিব এবং কায়ক্লেশে পৰ্ব্বত বিদীর্ণ কোরে যে মুষ্টিমেয় গম বা ভুট্টা সংগ্রহ করে তারই তিনখানা রুটির একখানা ক্ষুধিত অতিথিকে দিতে কিছুমাত্ৰ কাতর হয় না ; এবং অতিথির প্রতি তাদের যে ষত্ব ও আগ্রহ, তা অপাথিবী। কিন্তু পরের জন্য তারা নূতন কোরে ঘর বেঁধে রাখতে পারে না ; আর পাহাড়ের গায়ে বৈঠকখানা তৈয়েরী করবার भउ জামাওঁ মেলে না । অনেক খুঁজে পাহাড়ের যেখানে সামান্য একটু চাষের উপযুক্ত জায়গা পায়, তারই এক কোণে দুই পাঁচ ঘর গৃহস্থ ছোট