পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Str श्भिाजश्न । নাড়া দিলে যে, বোধ হোলো যেন সেই দণ্ডেই আমাদের দুজনকে উড়িয়ে নিয়ে পথের পাশে গভীর খাদের মধ্যে ফেলে দেবে ; কিন্তু দেখলুম, বৈদ্যাপ্তিকের শরীরে অসাধারণ বল। সেই প্ৰবল বাঞ্চাবাতটা তিনি অকাতরে সহ কোল্লেন । আমাদের নাক মুখের ভিতরে যে কত ছাইভস্ম প্ৰবেশ কোরালো তার শেষ নেই। বাতাস, চোলে গেলে আমরা চেয়ে দেখলুম, গাছের পাতা ধূলো কঁকির আর রাস্তার ছোট ছোট পাথরের মধ্যে আমরা সমাহিত হোয়েছি। দুজনেই গা ঝেড়ে উঠলুম, উঠে দেখি বৈদাস্তিক ভায়ার পিট জায়গায় জায়গায় কেটে গেছে, এবং সেখান হোতে অল্প অল্প রক্ত পোড়ছে; পাচ সাত জায়গায় ছড়ে গিয়েছে। বড় বড় কঁকার খুব জোরে এসে পিঠে লাগাতেই এ রকম হোয়েছে । আমার কোন ক্ষতি হয় নি, শুধু এক ধরে দম আটকে গিয়েছিল। ঝড় বৃষ্টির সময় পক্ষীমাতা যেমন তার ক্ষুদ্র, অসহায় শিশুটিকে বুকের মধ্যে নিয়ে তার হৃদয়ের সমস্ত স্নেহ ও যত্ন এবং সুকোমল প্রসারিত পক্ষপুট দিয়ে ব্যাকুল আবেগের সঙ্গে ঢেকে রাখে, আজ এই ঘোর ঝঞ্চাবাতের মধ্যে বৈদান্তিক ও তেমনি নিজের শারীরিক কষ্ট উপেক্ষা কোরে শরীর দিয়ে আ**...ক রক্ষা কোরেছেন; নিজের যে কষ্ট হেয়েছে, সেদিকে একটুকুও লক্ষ্য নেই। আমার শরীরে যে আঘাত লাগে নি এতেই তঁর মহানন্দ ; বৈদাস্তিকের সহৃদয়ত, মহত্ত্ব এবং আমার প্রতি করুণ স্নেহ দেখে স্বতই আমারহাদয় কৃতজ্ঞতা রিসে ভিজে গেল । বিপদের সময় ভিন্ন যে মানুষ চেনা যায় না, বিপদই মানুষের কষ্টি পাথর, তা তখন বুঝতে পারলুম। এই সংসার বিরাগী, শুষ্কহদয়, তর্কপ্রিয় পরুিষ ভাষী বৈদান্তিকের সঙ্গে অনেক দিন হোতেই একত্র ঘুরে বেড়াচ্ছি। শরীর শক্ত, মানুষ প্ৰকাণ্ড উচু, মাথার চুলগুলো আবড়া খাবড়া, ঠিক খেজুর গাছের মত ; মনে হোতে এর মধ্যে শুধু তর্কেরই ইন্ধন সঞ্চিত আছে ; এতে আর কিছু পদার্থ নেই ; কিন্তু আজ বুঝতে পাল্লম, এই কঠিন দেহের মধ্যে একখানি অতি সুকোমল স্নেহদ্র হৃদয়