পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, প্ৰত্যাবৰ্ত্তন ty আছে, এবং তার ঐ অতি বিশাল বক্ষ আৰ্ত্তের স্নেহনীড়। কৃতজ্ঞতার উচ্ছাসে আমার চক্ষে জল এলো। আমরা উঠে দাড়ালে স্বামীজী তাড়াতাড়ি আমাদের কাছে ছুটে এলেন ; আমরা কেমন কোরে রক্ষা পেয়েছি শুনে তিনি বৈদান্তিকের গায়ে তঁর স্নেহশীৰ্ব্বাদপূর্ণ হাতখানি বুলিয়ে দিলেন। স্বামীজীর ভাবে বোধ হোলো, আমাকে এমন ভাবে রক্ষা কোরেছেন বোলে বৈদান্তিককে তিনি তঁর প্রাণের মধ্যে হোতে নীরব আশীবৰ্ব্বাদ প্রেরণা কোরছিলেন। দুইজন সংসারত্যাগী সন্ন্যাসীর এ কি ব্যবহার ? বৈদান্তিক বিপদের সময় আমার কাছে ছিলেন, ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ অনুসারে তিনি না। হয় নিজের প্রাণ দিয়ে পরের প্রাণ রক্ষা কোরেছেন, কিন্তু স্বামীজী সংসরের উপর বীতস্প হ হোয়ে লোটা কমণ্ডলু মাত্র সার কোরে বেরিয়ে পোড়েছেন, তার এ আসক্তি, এ মায়াবন্ধন, এ বিড়ম্বন কেন ? কোথায় ভগবানের নামে বিভোর হোয়ে তিনি সময় কাটাবেন, না। শুধু আমার সুখ স্বচ্ছন্দ তার জন্যেই তিনি ব্যস্ত। এই পৰ্ব্বতের মধ্যে শত কাৰ্য্যে আমার প্রতি তার নেহের পরিচয় পেয়েছি। আজ দেখলুম। আমার জন্য তার আগ্রহ, উৎকণ্ঠ-স্নেহবন্ধনে বদ্ধ গৃহীর আগ্রহ, উৎকণ্ঠা আপেক্ষ। অল্প আসক্তি-বৰ্জিত নয় ; তাই একবার আমার ইচ্ছা হোলো তাকে চেচিয়ে বলি, “সাধু সন্ন্যাসি, এই কি তোমার সংসারত্যাগ, ইহারই নাম কি মায়ার বন্ধন ছেদন ? সমস্ত ছেড়ে হিমালয়ের মধ্যে এসেও তোমার আসক্তি বিদুরিত হোলো না । শেষে কি বোলবে যে, এই লেড়কী হামকে বিগাড় দিয়া”-কিন্তু এত কথা মুখ দিয়ে বাহির হোলো না, শুধু বোলুম “আমার প্ৰতি আপনার মায়া ক্ৰমেই বুদ্ধি পাচ্চে, এটা কিন্তু ভাল নয়।” তিনি এবার জবাবে আমাকে যা বেলেছিলেন, তেমন দেববাণী আমি আর কখন শুনি নি; তিনি বোল্লেন, “আমি সংসার ছেড়ে এসেছি, ংসারে আমার কেহ নাই, তোমার সঙ্গে ও আমার কোন সম্বন্ধ নেই। তোমার উপর আমার হৃদয়ের নিঃস্বাৰ্থ স্নেহবর্ষণ কোরে