প্ৰত্যাবর্তন · S¢ዓ ছেলেটীর প্রতিও এই পথ্যের ব্যবস্থা গোলো ; কিন্তু এই ব্যবস্থার সমা লোচনা করুবার উপযুক্ত লোক সেখানে ছিলেন না ; এক স্বামীজী নাড়ী টিপতে জানতেন, কিন্তু তিনিই রোগী ছেলেটীকে স্বহস্তে ‘ডাল ও পুরী’ দিলেন । আহারান্তে আবার নিদ্ৰা-অতি চমৎকার নিদ্রা। ; এই দেশভ্ৰমণে প্ৰবৃত্ত হোয়ে আমাদের সকল জিনিসের অভাব ছিল, অভাব ছিল না। কেবল একটী জিনিসের, সেটা হচ্ছে—সুনিদ্রা ; বাস্তবিকই এই অতি দুৰ্গম দীর্ঘ পথে নিদ্র। আম|:দ দি স সু! পঃ পিপী মায়ের মত হোয়েছিল। এই নিদ্রার অভাব হোলে বোধ করি আমরা এতটা কষ্ট সহ কোর্ভে পাত্তম না: ; বিছানা ত কোনদিন জোটেই নি, কোনদিন কদাচিৎ পত্ৰিকুটীরে মাথা রাখবার জায়গা পেয়েছি, অধিকাংশ সময়ই হয় অনাবৃত পৰ্ব্বতধক্ষে, না হয় গাছের তলায় রাত্ৰি কাটাতে (হায়েছে ; কিন্তু তখন সেই পৰ্ব্বত গহ্বরে ভূমি-শয্যায় কম্বল মুড়ি দিয়ে যেমন ঘুম হোতে, সেরূপ নিদ্রা লাভ করবার জন্যে এখন কতদিন সুকোমল শয্যার উপর শয্যাকণ্টক * ভাগ কোরতে হোয়েছে। সন্ধ্যার সময় শুয়েছি, তার এক ঘুমেই রাত্রি /, ভার হেয়েছে ; সঙ্গে সঙ্গে শরীরের জড়ত, পায়ের বেদনা, মনের অবসন্ন ভাব দূর হোয়ে গিয়েছে ; সম্মুখের বড় বড় চড়াই উৎরাই গুলো ভাঙ্গতে কিছুই কষ্ট বোধ হয় নি। আজ এই বাঙ্গালাদেশে সে সব কথা স্বপ্ন বোলে মনে হয় ; আরও দিনকতক পরে হয় তা মনেই কোর্তে পারবো না যে, আমার দ্বারা এমন একটা গুরুতর কাজ সম্পন্ন হোয়েছে। ৪ঠা জুন, বৃহস্পতিবার-আজ সকালে যাত্ৰা আরম্ভের উদেযাগ কোরলুম। স্থির করা গেল। লালসাঙ্গায় গিয়ে দুপুর বেল বিশ্রাম কোর্তে হবে। লালসাঙ্গার কথাটা আমার এখনো বেশ মনে আছে । এই পথ দিয়ে নারায়ণে যাবার সময় এখানেই সেই জুতোচোর সাধুর বিড়ম্বন দেখেছিলুম। আমাদের দুর্ভাগ্যবশতঃ আজও কিছু লজ্জাজনক ব্যাপার S a
