পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d b" श्भिावनग्नא দেখতে হোলো । নারায়ণ চটী হোতে লালসাঙ্গা ছয় মাইল ; পথের বর্ণনার আর দরকার নেই ; আ ঈ এই একমাসের উপর হোতে শুধু চড়াই ও উৎরাই, নামা আর উঠা, পৰ্ব্বং নিঝরি এবং নিঝর পাৰ্ব্বত এই নিয়েই আছি। এসব কথা বলতে আর ভাল লাগে না, কিন্তু এখন নেমে যাচ্ছি, আর কখন এ সব জায়গাতে ফিরে আসতে পারবো না~ তাই লেবে মনে বড় কষ্ট বোধ হোচ্ছে । এ কারাত্ৰিও যে দোকানে বাস কোরেছি, সেটি ছাড়তে মনে হোচ্ছে যেন চিরকালের মত একটা শান্তির আশ্ৰম ছেড়ে চোল্লাম ; নারায়ণে যাবার সময় মনে হোয়েছিল যেন মহাপ্রস্থানের পথে স্বর্গে চেলেছি। এখন মনে হোচ্ছে আবার সেই আকাঙ্ক্ষা-কাতর, ধূলিময়, রৌদ্রদগ্ধ পৃথিবীতে ফিরে যাচ্ছি। আমার চিরদিনের মাতৃভূমিতে যাচ্ছি এই যা কিছু সান্তন ; কিন্তু সেখানেও দুঃ থ, যন্ত্রণা, হাহাকারের বিরাম নেই । এই সকল কথা ভাবতে ভাবতে চোলাতে লাগিলুম, শেষে বিস্তর চড়াই উৎরাই ভেঙ্গে শ্রা সৃষ্ট দেহে বেল প্ৰায় এগারটার সময় লালসাঙ্গায় পৌছলুম। আজ আমার পথশ্ৰম বড়ই বেণী হোয়েছিল। ধীরে : আমার অভ্যাস নয় সে কথা পূৰ্বেই বোলেছি; চােলাতে চোল তে . ঋ রাস্তাতে পোসে আমি কোনদিনই বিশ্রাম কোর্ভে পারি নি। যেদিন যতটুকু যা ওয়া দরকার এক দম চোলে, তারপর হাত পা ছড়িয়ে সে দিনের মত ছুটি। এই রকম হিসাবে চেলে আসা যাচ্চিল,কিন্তু আজ আমাকে বাধ্য হেয়ে এ অভ্যাস ছাড়তে হোলো ; আমাদের সঙ্গে সেই রোগ ছেলেটি আছে, সে নিতান্ত ভালমানুষ, মুখে কথাটি নেই। তাকে সঙ্গে কোরে পথ চলা বড় কঠিন ; পাছে দ্রুত চোলাতে তার কষ্ট হয়, এই ভেবে আমি বড় আস্তে আস্তে চেলছিলুম। সে দশ পা যায়, আবার নিতান্ত অবসন্ন হোয়ে পড়ে ; তখন গাছের ছায়ায়, কি পাথরের পাশে বোসে তাকে অঞ্জলি পূরে ঝরণার জল খাওয়াই, ইংরেজী পুথির দু চারটে ভাল গল্প বলি, কখন বা দুই একটা