Š Š ბ. श्भिiलभ ' সেই অপরাঙ্কেই বেরিয়ে পোড় লুম! শীঘ্র শীঘ্ৰ নন্দ প্ৰয়াগে আসবার আমার আরও একটা উদ্দেশ্য ছিল ; আমাদের সঙ্গে একজন অজ্ঞাতকুলশীল বালক সন্ন্যাসী জুটেছিল, তার শরীরের অবস্থা অতিশয় শোচনীয়। আজ অনেক কষ্টে তাকে লালসাঙ্গ অবধি নিয়ে এসেছি। আজ রাতটা যদি এখানে বাস করি, তা হোলে এমনটি হওয়াও অসম্ভব নয় যে, সে একেবারে অবসন্ন হোয়ে পোড়বে ; তার শরীর এমন ভেঙ্গে পোড়বে যে আর তার চলবার শক্তি থাকবে না। যদিও লালসাঙ্গাতে ও চিকিৎসালয় অ’লে, কিন্তু যাকে আজ কয়দিন থেকে সঙ্গ কোরে ফিরছি, তাকে এই অপরিচিত স্থানে দাতব্য চিকিৎসালয়ে ফেলে যাব, একথাটা যেন মনে কেমন ঠেকৃতে লাগলো। তাকে হয় ত দুদিন পরে ড: ওঁ, রেখানা থেকে তাড়িয়ে দিতে পারে, অথবা সচরাচর দাতব্য চিকিৎসালয়ে রোগীদের প্রতি ষে প্রকার যত্ন লওয়া হয়, তাতে এই দুৰ্ব্বল রুগ্ন অসহায় বালি কটি দুদিন আগেই জীবনলীলা শেষ কোরে বোসবে। কোন রকমে তাকে নন্দপ্ৰয়াগে নিয়ে যেতে পারলে আমার আর সে ভয় থাকবে না। যখন নারায়ণ দর্শনে যাই, সেই সময়ে নন্দ প্ৰয়াগের দাতব্য চিকিৎসাল , ডাক্তার বাবুর সঙ্গে আমার বিশেষ পরিচয় হোয়েছিল ; তঁাকে একজন দয়াল ভাল লোক বোলে আমার বেশ বিশ্বাস হেয়েছিল ; এই রোগীটিকে তঁর হাতে দিয়ে যেতে পাবুলে তার যে অযত্ন হবে না। এবং সেই ডাক্তারের যতটুকু বিদ্যা তাতে যদি বালকের রোগমুক্তির সম্ভাবনা থাকে, তা হোলে চাই কি সে আবার সুস্থ হেয়ে নিজ গন্তব্য স্থানে চোলে যেতে পারবে । এই জন্যই সেই অপরাত্নে তাড়াতাড়ি নন্দ প্ৰয়াগে আসবার জন্য বেরিয়ে পড়া গিয়েছিল । 牌 প্ৰাতে ছয় মাইল রাস্তা হেঁটেই বালকটি কাতর হোয়েছিল, এবেল, আমাদের বাহির হবার আয়োজন দেখে সে যে অতি অনিচ্ছায় তার ঝুলিটি কঁ?”ধ ফেলে বাহির হোলো, তা তার আকার প্রকারেই বেশ বুঝতে পার।
