পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Š, š N9 छिभब्लग्न • পরদিন প্ৰাতঃকালে (৫ই জুন শুক্রবার) আমরা প্ৰস্তুত হবার পূর্বেই দারোগা সাহেব ও দুইজন বীরকন্দাজ ধাড়াচুড়া পোরে এসে হাজির। স্বামীজী, বৈদান্তিক ও আমি তিনজনেই বালকের সঙ্গে সঙ্গে দাতব্য চিকিৎসালয়ে গেলুম। ডাক্তার বাবু খুব খাতির যত্ন কোবুলেন। পথে কোন প্ৰকার অসুখ হোয়েছিল কি না তার তত্ত্ব নিলেন ; স্বামীজীর সঙ্গে পরিচয় কোরে দিলুম। ডাক্তার অতি ভক্তি ভরে তার চরণ বন্দন কোল্লেন । শেষে বালকাটীর কথা বলায় অতি আগ্রহে তাকে হাসপাতালের একটা ছোট ঘরে একাকী থাকবার বন্দোবস্ত করুবাব আদেশ দিলেন। বালকটীকে বিশেষ রকমে তত্ত্ব লওয়ার জন্যে এবং তাকে ভাল কোরে শুশয্যা কোরুতে যদি কিছু ব্যয় হয় আমি তা দিয়ে যেতে প্ৰস্তুত হওয়ায় ডাঃ লু” ই বড়ই দুঃখিত হলেন । চিকিৎসালয়ের নিয়মানুসারে সরকার থেকেই সব দেওয়া হয়ে থাকে, তা ছাড়াও যদি বিশেষ কিছু দরকার হয়, তা হলে সেটা দেবার ক্ষমতা ভগবান ডাক্তারকে দিয়েছেন, এ কথা। তিনি অতি বিনীতভাবে বললেন -আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলুম। বালকাটীর জন্য বিছানা প্ৰস্বত হলে তাকে সেই ঘলে ৩য় যাওয়া হলো, আমরাও সঙ্গে সঙ্গে গেলুম। এখন বিদায় গ্রহণের সময় উপস্থিত। হলো। আজ তিনদিন যদিও বাল কটীকে পেয়েছি, তবুও তাকে আমাদের একজন নিতান্ত আপনার জন বলে মনে হ’তে লাগলো। এই অসহায় রুগ্ন-অবস্থায় তাকে এই পৰ্ব্বতের মধ্যে ফেলে যাচ্ছি ; এ জীবনে হয় তা আর তার সঙ্গে দেখা হবে না ; এই দাতব্য চিকিৎসালয় থেকে সে যে আর বাহির হতে পারবে, তারই বা নিশ্চয় কি, এই সব কথা ভেবে প্ৰাণের মধ্যে কেমন কবৃতে লাগলো। তারপর যখনই তার সেই রোগক্লিষ্ট মলিন মুখের দিকে দৃষ্টি পড়তে লাগলো, তখনই একটা অব্যক্ত শোকের ছায়া এসে আমার হৃদয় আচ্ছন্ন করুতে লাগলো। তবুও আমি ধীর নিশ্চলভাবে দাডিয়ে রইলুম ; বৈদান্তিক ভায়ার দুইটি চক্ষু বিস্ফারিত দেখে