পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ङ)ारुर्री ه وي؟; বেশ বুঝতে পারুলুম, মায়াবাদী অনেক কষ্টে মনের কোমল ভােব গোপন করছেন। স্বামীজি কিন্তু কেঁদে ফেললেন। তিনি আর আত্মসম্বরণ করতে পাবুলেন না ; বালকাটীর হাত ধরে তিনি কান্না জুড়ে দিলেন। হায় সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী, তুমিই ধন্য! নিজের সব ত্যাগ কোবে এসে এখন পথে ঘাটে যাকে কাতর দেখ, যাকে দুঃখী দেখ, তারই জন্য কেঁদে আব্দুল । আমরা সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর এই অশ্রািজল দেখতে লাগালুম। পরের জন্যে যে এমন ক’রে চোখের জল ফেলতে পারে, সে দেবতা নয় ত কি ! বেলা হয়ে যায় দেখে, আমরা অতি কষ্টে বালকের নিকট হ’তে বিদায় গ্রহণ করুলুম। ডাক্তার বাস ও দারোপ মহাশয়কে বিশেষ ক’রে অনুরোধ করা গেল । শেষে তাদের নিকট থেকে বিদায় নিয়ে আমার! নন্দ প্রয়াগ ত্যাগ ক’রে চলে এলুম। আর হয় তা এ জীবনে নন্দ প্ৰয়াগ দেখা হবে না। } যে সব স্থান ছেড়ে যাচ্ছি, কতদিনের সাধনফলে তবে এমন সব পবিত্ৰ স্থান দেখা হ’য়েছিল ; আবার কি এ পুণ্যভূমিতে আসা হবে ? কে জানে ভবিষ্যতের গর্ভে কি আছে ? কে জানে অদৃষ্টদেবী অন্তরাল থেকে আমাদিগকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। রাস্তায় যেতে যেতে শুধু বালকটির কথাই মনে হ’তে লাগলো। সে যদি আপনার পরিচয় দিত, তা হ’লে তার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা কবুতে পার তুম। সে ত নিজের পরিচয় দিলে না। কি এক মনের আবেগে, কি এক হৃদয়ভেদী কষ্টে, যন্ত্রণায় সে লোকালয় ছেড়ে এই ভয়'নক পৰ্ব্বত প্রদেশে মাথা দিতেছে, তা না জানতে পেরে তার উপরে আমাদের স্নেহ আরও বৃদ্ধি হ’য়েছিল। এমনি ক’রে কত পথিকের সঙ্গে কত দিন কত পথ দেখা হ’য়েছিল, আজ হয় তা তাদের চেহারা পয্যন্ত ও মনে নাই । আজ ৫ই জুন শুক্রবার—নন্দপ্ৰয়াগ ত্যাগ ক’রে আমরা তিনটি মানুষ ধীরে ধীরে অগ্রসর হ’তে লাগালুম ; কারও মনে প্ৰসন্নতা নেই। কেমন একটা গভীর বিষাদ বুকে কোরে আমরা নিঃশব্দে পথ বেয়ে চল্লাম ; পা