r o श्भिiलभ করুন, আপনার দাড়ি আমরা কোন দিন ভুলবো না । আপনার হয় ত মনে নাই, কিন্তু আপনারা যখন মুঙ্গেরে ছিলেন। আমি ত%ন জামালপুরে থাকতুম।” স্বামীজি তাকে তবুও চিনতে পাবুলেন না। কৃষ্ণৰ শেষে আত্মপরিচয় দিলেন ; তিনি জামালপুরে কোন আফিসে চা করূতেন। যখন মুঙ্গেরে কেশববাবু স্বদলবলে অবস্থান কাবুছিলেন, সে সমস্ত্রে ঐ অঞ্চলে খুব একটা ধৰ্ম্মান্দোলন উপস্থিত হয়েছিল। অনেক শিক্ষিত যুবক ব্ৰাহ্মসভা, সংশোধনী সভা প্ৰভৃতি স্থাপন ক’রে খুব একটা সোরগোল উপস্থিত করেছিলেন ; তার পর কেশব বাবুৰ্ব্ব চলে এলেন ; কিন্তু ধৰ্ম্মের আন্দোলন সহজে মুঙ্গের জামালপুর ত্যাগ করলে না ; কতকগুলি যুবক যথারীতি বা স্ম অবলম্বন করূলেন ; কেউ শৈব হলেন, কেউ বৈষ্ণব হলেন। প্ৰরিব্রাজক শ্ৰীকৃষ্ণ প্ৰসন্ন সেন, যিনি পরে কৃষ্ণানন্দ স্বামী নাম ধারণ করেছিলেন, তিনি সেই মুঙ্গেরের যুবক দলের একজন উৎসাহী নেতা} ছিলেন। কতকগুলি সুবিধ বৃন্মের জন্য চাকুরী আদি ত্যাগ কবুলেন । শ্ৰীকৃষ্ণ প্ৰসন্ন সেন হিন্দুদন্মের প্র’ রক হয়ে দেশে দেশে ফিরুতে ও গলে না, তাঁর বক্তৃত। শুনে চারিদিকে হে চৈ পড়ে গেল!! আমাদে ব্দে নে বৈষ্ণবের সাক্ষাৎ হলো, তিনি কিছুদিন সেই দলেই ছিলেন । কিন্তু শোসে নিজের রুচি অনুসারে বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণ ক’রে, যথারীতি ভোক নিয়ে এখন বৃন্দাবনে বাস করছেন । নারায়ণ দশন উদ্দেশ্য তিনি এদিকে আসেন। নাই ; তার একজন বাঙ্গালী বন্ধু কানপুরে থাকেন; সেই বন্ধুটীর একমাত্র পুত্ৰ কোথায় চলে গিয়েছে। তারা কেমন ক’রে সন্ধান পেয়েছেন যে, সে ছেলেট বদরিকাশ্রমের দিকে এসেছে ; তাই এই বৈষ্ণব সেই ছেলের অনুসন্ধানে এসেছেন ; বৃন্দাবনে বসেও প্রভুর নাম কিরুছিলেন, পথে ও তাহরই নাম করবেন ; বন্ধুর ছেলেট যদি পাওয়া যায়, তা হলে বন্ধুর যথেষ্ট উপকার করা হবে, বন্ধুপত্নীও প্ৰাণ পাবেন। পরের উপকারের জন্যই সাধু বৈষ্ণব। এই ভয়ানক পথে এসেছেন।
