পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰত্যাবৰ্ত্তন ቅ ኑ እ প্রতিদিনই আমাদের প্রত্যাগমনের পথের দিকে সে চেয়ে থাকত। তার কথাগুলি শুনে আমাদের মনে বড়ই আনন্দ হলো ! আমরা কোথাকার কে, কবে এক রাত্রির জন্যে তার দোকানে আশ্রয় নিয়েছিলুম, আর সে আমাদের কথা মনে রেখেছে, এ কথা শুনে মনে বড়ই আনন্দ 6ट्{6व्ल। ! আমরা চটিতে বিশ্ৰাম কছি ; দোকানদার আমাদের আহারাদির আয়োজন কবুছে । সে দিন আমরা ব্যতীত সে চটিতে আর কোন স্বাস্ত্রী বাসা নেয়নি , তাই দোকানদার তার যা কিছু মনোযোগ সমস্তই আমাদের সেবায় নিযুক্ত করেছে। বেলা যখন প্ৰায় ১১ট! সেই সময়ে নীচের দিক থেকে একজন বৈষ্ণব সাধু এসে ঐ চটিতে উপস্থিত হলেন । র্তার ভাব দেখে বোধ হলো, তিনি আজ অনেক পথ হেঁটেছেন । তার সঙ্গে আর দ্বিতীয় লোকটী নেই। আমাদের দেশের বৈষ্ণবের মত বেশ ; স্কন্ধে একটী ছোট রকমের বুলি আছে। তিনি দোকানে প্ৰবেশ ক’রেই নিজের ঝুলিটী নামিয়ে রেখে একেবারে মাটির উপর শুয়ে পড়লেন, এবং কতক্ষণ চোক বুজে ৰাইলেন । তার ভাব দেখে বোধ হোলো, এমনি ক’রে শুয়ে তিনি বেশ আরাম বোধ কচ্ছেন। ঊর্তার সে আরামে বাধা দিয়ে কথাবাৰ্ত্তা বলা সঙ্গত্ব নয় মনে ক’রে আমরাও চুপ ক’বে পদে স্নই লুম। এ কৃ} পরেই তিনি গা ঝাড়া দিয়ে উঠে বসলেন এবং স্বামীজির দিকে চেয়ে বল্লেন, “পথশ্রমে বড়ই কাতর হয়ে পড়েছিলুম, তাই আপনাদের সঙ্গে কথা কইতে পারি নি, কিছু মনে করবেন না।” স্বামীজি অবাক হয়ে গেলেন ; উর্তার সেই আজানুলম্বিত, দাড়ি এবং গৈরিক বস্ত্রের প্রকাণ্ড উষ্ণৗষ সত্ত্বেও কি ক’রে বৈষ্ণব তাকে বাঙ্গালী ঠাউরে নিয়ে বেশ দিব্বি বাঙ্গালায় কথা বল্লেন, এই স্বামীজির বিস্ময়ের কারণ। কিন্তু বৈষ্ণব মহাশয় তা বেশ বুঝতে পেরেছিলেন ; কারণ পরীক্ষণেই তিনি বল্লেন, “আপনি সন্ন্যাসীর বেশেই থাকুন। আর যাই