পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীনগর মধ্যে একটা মহান গম্ভীর ভাব আছে, তা শুধু প্ৰাণ দিয়েই অনুভব করা যায়। চারিদিকে হিমালয়ের অসমান শৃঙ্গ আকাশ স্পর্শ করার জন্যে দাড়িয়ে আছে, মধ্যে গঙ্গা ও অলকানন্দ নিম্মল জলপ্রবাহে উপলখণ্ড ধুয়ে চলে যাচ্ছে ; দুই একটা জায়গায় বড় বড় প্রস্তরস্তােপ পোড়ে, তাদের গতি ব্যাহত করবার চেষ্টা কোরছে । সেখানে তাদের বেগ הדי বড়ই ভয়ানক ; নিৰ্ম্মল তরল প্রবাহ বটে, কিন্তু তাদের গতি কে রোধ করতে পারে? নদীর পাড়ে এবং অসমতল পৰ্ব্বত উপত্যকায় নানা রকমের গাছ । ফুলের গা চ যে কত, তার সংখ্যা নেই ; কোথা ও রাশি রাশি ইট ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হোয়ে রয়েছে, একরাশ সতেজ লতা তাদের জড়িয়ে বারে-বেশীর ভাগ জায়গা; সবুজ পাতায় ঢেকে-আশপাশের দু’পাচটা KSLS0SB S DkLYJB SDDBD BDDBK BDEBSS BDDDS00SDJJYSS DD অল্প দূরেই শ্ৰীনগরের পৃব্ব গৌরবের লুপ্ত চিহ্ন পুরাণে, রাজবাড়ীর ভগ্নাবিশেষ, আর স্থানে স্থানে নানা শিল্পকাৰ্য্যবিশিষ্ট প্রাচীন দেবালয় । শ্ৰীনগরের দৃশ্য-শোভার মধ্যে মোটেই বিলাসের ভাল নেই ; এখানে আমি এমন একটা জায়গা দেখেছি বোলে মনে হয় না, যেখানে নদীতীরে, জ্যোৎস্নাপুলকিত, কুসুম সুরভিপ্লাবিত রাত্ৰে নাশপাহি গ্লোলি দ্য লতাকুঞ্জে গায়ক নায়িক পরস্পরের হৃদয়া বেগ ঢেলে দিয়ে তৃপ্তি অনুভব কাবুতে পারেন । সমস্ত স্থানটা যেন যোগী ঋষির তপ যাপের পক্ষেই একান্ত উপযোগী । হৃদয়ে শান্তি আনে, প্রেমের চাঞ্চ ল্য জাগাদু না । আমরা শ্ৰীনগরে প্রবেশ কোরে একটা ছোট পরিচ্ছন্ন দোতাল। ঘরে বাসা নিলাম। হরিদ্বার ছেড়ে অবধি যত জায়গা দেখেছি তার মধ্যে শ্ৰীনগরকেই সহর বলা যায়। পৰ্ব্বতের মধ্যে এতদূর বিস্তুত সমভূমি আর কোথাও দেখি নি। অন্য যে সমস্ত নগর দেখেছি, তার কোনটা পৰ্ব্ব‘তের গায়ে, কোনটা বা তিনচার বিঘে সমভূমির উপর, কিন্তু শ্ৰীনগর ষোল বিঘে কি তার চেয়ে বেশী সমতল জায়গা দখল কোরে আছে । বাজারের