পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 श्मिांक्लभ সমস্ত দোকানই প্ৰায় কোটাঘর ; দোকান বিস্তর, আর সে সকল দোকানে নানা রকম জিনিস পাওয়া যায় ; এমন কি নিকটে আর কোন জায়গায় যে সকল জিনিস দেখা যায় না, এখানে তাও পাওয়া যায় { আর এই জন্যই সমস্ত গাড়োয়ালের লোক এখান থেকে দরকারী জিনিস কিনে নিয়ে যায় । তবে এদেশের লোকের দরকারী জিনিসের সংখ্যা। নিতান্ত কম-লবণ, লঙ্কা, আটা ও কাপড় হোলেই সকলের বেশ চলে যায় ; এগুলি ছাড়া। আর সমস্ত জিনিসই বিলাসের উপকরণ বোলে সাধারণের বিশ্বাস । বাজারে যে পঞ্চাশ যাটখানা দোকান আছে, তার প্রায় সকল গুলিই হিন্দুর—দুহ একখানামাত্র মুসলমানের দোকান ৷ শ্ৰীনগরের এই দুই একঘর মুসলমান দোকানদার ছাড়া সমস্ত গাড়োয়ালে আর মুসলমান অধিবাসী নেই । শ্ৰীনগর পৌছে বাসা ভাঙা করার পর সেখানে পরিচিত যে দুই এক | জন লোক ছিলেন, তাদের কাছে আমাদের শুভাগমন সংবাদ পাঠান । গেল। তারা অবিলম্বে আমাদের বাসায় এসে উপস্থিত হােলেন এবং : আমাদিগকে তাদের বাড়ী নিয়ে যাবার জন্যে যথোচিত স্ট্রীড়াপীড়ি আরম্ভ ; কলেন ; কিন্তু আমি তাদের বল্লম এখানে আমরা এক ঐ মাত্র থাকবো, ; বাসাতেই আহারাদির আয়োজন করেছি ; অতএব এখন আর কোথাও নড়াচড়া না কোরে বন্দরীনারায়ণ হোতে ফেরবার সময় এদিক দিয়ে যাব ; এই কথায় বন্ধুবৰ্গকে তখন বুঝাইয়া স্থির করা গেল। আহার বিশ্রামের পর বিকেলে সহর দেখতে বের হোলুম ; শ্ৰীনগরে দর্শন- “ যোগ্য স্থানের বিবরণের আগে, উপক্ৰমণিকায় তার একটু ইতিহাস দেওয়া দরকার, কারণ ইতিহাসের সঙ্গে তার একটু সম্বন্ধ আছে। অনেকদিন আগে একবার নেপালের রাজা গাড়োয়াল রাজ্য আক্রমণ করেন । গাড়োয়ালের রাজা যুদ্ধে পরাস্ত হন এবং পৰ্ব্বতে পলায়ন করেন। এই সময় হোতে গাড়োয়াল নেপালেরই অধিকারভুক্ত হয়। কিন্তু এই