পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R श्भिांलग्र দলই সমান মজবুদ ! একধর আমি আমার দুর্ভাগ্যবশতঃ এই বুক একটা সভায় গিয়ে পড়েছিলুম। সেদিন আমাদের পণ্ডিতজি বক্তৃত৷ কোরবেন – অপর পক্ষে স্থা| দ্ৰ সমাজের একজন প্রচারক বলবেন। সভায় উপস্থিত হোয়ে দেখি কুরুপাণ্ডবের মত দু’দল দুদিকে সার দিয়ে বসে গিয়েছেন ; আমরা কোন দিকে বসি প্ৰথমে ত এই ভাবনাতেই অস্থির – শেষে কিছু ঠি? কোর্তে না পেরে বক্তার টেবিলের সুমুখে প্লোসে গড়লুম। বক্তৃত। হিন্দীতে নয়, বিশুদ্ধ সংস্কৃতে ; বেদ বা ধৰ্ম্মশাস্ত্র নিয়ে র্যােরা তর্ক করবার স্পৰ্দ্ধা রাখেন, সংস্কৃতে তাদের বেশী দখল থাকাই কৰ্ত্তব্য, তবে আমাদের বাঙ্গালী প্রচারক মহাশয়েরা সেটা অনাবশ্যক মনে করেন । সভায় প্রথমে একজন কোরে বা লুন্তু তা কোল্লেন, শেষে বোসে বোসে উভয়পক্ষে ঘোর তর্ক আরম্ভ হোলো ; সুর পঞ্চম ছেড়ে সপ্তখে উঠল, তার পরেই হাতাহাতির জোগাড় । বেগতিক দেখে আমি পলায়নের পথ খুজতে লাগলুম। কিন্তু এক অচিন্ত্যপূৰ্ব্ব কারণে হঠাৎ সভ | ভেঙ্গে গেল । তর্ক কোর্তে কোতেওঁ আৰ্য্যসমাজের একজন বক্তা তা বক্তৃতার মধ্যে একটা ব্যাকরণ অশুদ্ধ কথা প্রয়োগ করেছিলেন,—তাই শুনে হিন্দুসভার দল হে হে! কোরে চীৎকার কোন্সে উঠল—এবং হাত তালি দিয়ে ‘ব্যাকরণ নেহি জােন্তা, বেদবিচার ল । -শকে আয়া” বোলে সভা ভেঙ্গে দিলে । এই রকম হঠাৎ সভা ভঙ্গ না হোলে সেদিনকার প্রচারকাৰ্য্য হয়ত শ্ৰীঘর পর্য্যন্ত পৌছিত ; এরকম ঘটনা আমাদের দেশেও খুব বিরল নয়। অনেকদিন পরে পণ্ডিত হরিকিষণের সঙ্গে দেখা হওয়াতে দুই সমাজ কি রকম কাজ কোরছেন, এ সম্বন্ধে নানা কথ জিজ্ঞাসা কলুম। কথাবাৰ্ত্তায় অনেক সময় কেটে গেল, আমরাও এক পা দু পা কোরে কমলেশ্বরে গিয়ে উপস্থিত হোলুম। কমলেশ্বর শ্ৰীনগরের খুব নিকটে, এমন কি এক মাইলের মধ্যে কমলেশ্বরের নাম আগেই শুনেছিলুম ; ভেবেছিলুম,--হয় তা পাহাড়ের