পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীনগর 6R W)

  • পর একটা শিবমন্দির ছাড়া এখানে আর কিছু নেই ; কিন্তু কাছে সে বুঝলুম, এ শুধু মন্দির নয়, একটি ছোটখাট রাজবাড়ী। চারিদিকে

টুখে বিনয়ের অভাব এবং ঔদ্ধত্যের ভাব দেখে স্বতঃই মনে হয় এরা 瑟 বিমন্দিরের সংস্পর্শে আসবারও সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত । চারিদিকের ব্যাপার 藝 খে বুঝলুম, এটা কখন সন্ন্যাসীৱ আশ্রম নয়। মঠাধারী যদিও সন্ন্যাসী, কিন্তু ত্ৰিসীমানায় সন্ন্যাসের কিছুই নজরে পড়ে না ; সুতরাং তারকেশ্বর, বৈদ্যানাথের মহান্ত মহারাজাদের কথা আমার মনে হোলো ; তারাও ধ্ৰুতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিকারী, এবং যদিও তারা সন্ন্যাসী, তবু যে রকম বিলাসলালসা ও প্রলোভনের মধ্যে র্তারা চিরজীবন ডুবে থাকেন, তাতে তাদের কুঁন্ন্যাসধৰ্ম্মের বর্ণপরিচয়টুকু ৭ হয় কি না। সন্দেহ । এই কমলেশ্বরের মহান্ত i স্বন্ধেও আমার এই রকম একটা বিশ্বাস দাড়িয়ে গেল ; কিন্তু ভিতরের ক্লাপার জানিবার জন্যে আমার বিশেষ কৌতুহলও হোলো। আমরা সিংহদ্বার পার হােয়ে প্রকাণ্ড একটা দ্বিতল চকের প্রাঙ্গণে উপস্থিত হালুম ; সেই প্রাঙ্গণের এক পাশে শ্বেতপ্রস্তরনিৰ্ম্মি ত লোহার গরাদে দেওয়া এক অনতিদীর্ঘ শিবমন্দির, মন্দিরের মধ্যে মহাদেব লিঙ্গ মূৰ্ত্তিতে বিরাজমান। মন্দিরের বাইরে একটা প্ৰকাণ্ডকায় পিতলের যােড়। প্রাঙ্গণটী পাথরে বাঁধান ; পুরোহিত, ব্রাহ্মণ, অতিথি, অভ্যাগত ও যাত্রীদলে সেই প্ৰাঙ্গণ এবং টানা বারান্দাগুলি পরিপূর্ণ। আমরা গিয়ে শুনলুম, আরতির সময় হয়েছে, তাই এত জনতা ; অন্যান্য দর্শকের মত আমরাও একপাশে দাড়া লুম ; অবিলম্বে ঠাকুরের আরতি আরম্ভ হোলো । হঠাৎ চারিদিকে “তফাৎ তফাৎ” শব্দ পড়ে গেল। বুঝলুম, মহান্ত বাবাজী আসছেন। তার আগে তিনচারজন চাকর উগ্ৰমূৰ্ত্তিতে দর্শকদের তফাৎ কোর্বে লাগলো। একজন বৃদ্ধ একটা ছোট ছেলের হাত ধোরে আরতি দেখতে এসেছিল, মহান্ত বাবাজীর পরিচারকদের ধাক্কায় ছেলেটি ।