পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ণপ্ৰয়াগপথে Գ Տ বৈদান্তিক বলেছিলেন, রাত্রে দশবারে হাজার মাছি তাকে অস্থির কোরে তুলেছিল। পিপলচটীতে এসে মাছির আতিশয্য ও উৎপাত দেখে আমার এ কথাটা অসম্ভব বোলে মনে হোলো না । এত মাছি আর কোথাও দেখি নি . উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের অনেক জায়গায় মাছির বংশবৃদ্ধির খুব পরিচয় পাওয়া যায় বটে, কিন্তু এত বেশী নয়। এরা মানুষকে একে1ারে পাগল কোরে তোলে । মাছির জালায় আমাদের ধৰ্ম্মশালায় বসা অসম্ভব হোয়ে উঠলো । কোন রকমে এখানে দু তিন ঘণ্টা কাটান গেল । রুদ্র প্রয়াগ হোতে অলকানন্দার অপর পার দিয়ে যে নূতন রাস্তা বের 2 য়েছে, তা এখানে শেষ হোলে! ! এখানে একটা টান৷ সাকো f য়ে রাস্তাটাকে এ পারের রাস্তার সঙ্গে যোগ কোরে দেওয়া হোয়েছে । বুদ্ধ স্বামীজি খানিক বিশ্রাম করুবার আশায় কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পোড়েছিলেন, কিন্তু তাতে ও মাছির হাত হোতে পরিত্রাণ নেই । কম্বলের ংঘ এক আধটু ফাক ছিল, তারি মধ্য দিয়ে গিয়ে তার। তাকে আক্রমণ কোন্তে লাগলো । এই দারুণ পথশ্রমের পর কোথায়ু একটু আরাম ৫. কাবুবো, না মাছির জালায় অস্থির হোয়ে পোড় লুম ; শেষে যন্ত্রণা "অসহ্যু * ‘ওয়ায় বোলা তিনটে না বাজতেই পিপলচটী হোতে বের হওয়! গেল । কিছুদূর যেতে না যেতেই, আকাশে অল্প অল্প মেঘ দেখা গেল ; অমর। প্রথমে সে দিকে বড় লক্ষ্য কল্প,ম না, কিন্তু মেঘ ক্ৰমে সমস্ত আকাশ ঢেকে ফেলে, চারিদিক খুব অন্ধকার হে য়ে এলো এবং পরেই ৷ বেশ বাতাস উঠলো। ঝড়-জলে রাস্তায় বিপদে পড়া অসম্ভব নয় ভেবে, স্বামীজি নিকটস্থ একটা গহবরে আশ্রয় নিতে বোল্লেন, কিন্তু বৈদান্তিক ভায়ার সব উলটো । যা কিছু ভাল যুক্তি, তিনি তার মধ্যে নেই । তঁর পন্থী সকল কালেই স্বতন্ত্র, এমন কি, বিপদের সময়ও । তিনি বল্লেন, যখন বাতাস উঠেছে, তখন মেঘ এখনি উড়ে যাবে। এমন সামান্য সামান্য কারণে পথ চলা বন্ধ করা কোন কাজের কথা নয় ।