পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

stsease, ১২এ মে, শুক্রবার-কোন দুই নদীর সঙ্গম না হোলে প্ৰয়াগ হয় না!! কর্ণপ্ৰয়াগে দুই নদীর সঙ্গম হোয়েছে, একটি অলকানন্দ। অপরটি কর্ণ গঙ্গা । কর্ণর্গঙ্গাকে ঠিক নদী বলা যায় না, এ একটা বড় রকমের বেগবর্তী ঝরণামাত্র। এখানে নদীর মত স্রোত বোয়ে জল আসে না ; নদীর পরিসর দেড়শ হাত, কি কিছু বেশী হবে ; কিন্তু তার অনেক জায়গাই শুকিয়ে গিয়েছে। যেখানে সাকো তৈয়েরী হয়েছে, তারই নীচে বড় বড় জলধারা ! পাহাড়ে খুব বৃষ্টি হোলে হু হু শব্দে জল নেমে সমস্ত ডুবে যায়। এই নদীর নাম কর্ণগঙ্গা কেন হোলো, তার একটা সন্তোষজনক কৈফিয়ং এখানকার পাণ্ডাদের মুখে শুনতে পাণ খায়। মহাবীর কর্ণ কিছুকাল এখানে তপস্যা করেন ; মধ্যে একদিন ৩ার অবগাহনেচ্ছা অত্যন্ত প্রবল হোয়ে উঠে, এবং কিরূপে ইচ্ছা কাৰ্য্যে পরিণত হয়, সেই চিন্তাতেই তিনি কিছু ব্যস্ত হয়ে পড়েন ; কিন্তু তপোবলে তিনি দেবতাদের এত বাধ্য কোরে রেখেছিলেন যে, প্ৰয়াগে স্নান করবার জন্যে তঁাকে আর কোথাও যেতে হোলো না ! পতিতপাবনী গঙ্গা সেখানেই এসে অলকানন্দার সঙ্গে মিশলেন। কর্ণের ক্ষুদ্র কুটীরদ্ধারে প্রয়াগ হোলো ; কৰ্ণজী। সেই সঙ্গমস্থলে স্নান কোরে দেহ শীতল , ও পবিত্র কোল্লেন । সেই হোতে এ নদীর নাম কুণগঙ্গা হোয়েছে। পৰ্ব্বতবাসী সরলচেতা বিশ্বস্তহৃদয় বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণ যখন এই পুরাণ কাহিনী গভীর বিশ্ব