পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

25 צ"ל ! শিলাবৃষ্টি ছেড়ে গেলে আমরা আবার উঠলুম। দেখতে দেখতে আকাশ বেশ পরিষ্কার হোয়ে গেল, এমন কি, শেষে রোদ ও উঠলো। সেই সান্ধ্যতাপনের কনককিরণসিক্ত পার্বত্য প্রকৃতি এক আশ্চৰ্য্য শোভা ধারণ কোরেছিল। ছোট ছোট গাছগুলি হোতে টোপে টোপে বৃষ্টি পোড়ছে ; পাহাড়ের গা বোয়ে নানা জায়গা হোতে নালা বের হোয়ে ভু হু শব্দে নীচের দিকে যাচ্ছে ; আর আকাশ পরিষ্কার দেখে পাখীর দল আনন্দের সঙ্গে কলরব কচ্ছে এবং ভিজে পাখী ঝেড়ে ফেলুছে— এ দৃশ্য অতি সুন্দর । কিন্তু ভিজে কম্বল সৰ্ব্বাঙ্গে জড়িয়ে এক গ| বেদন নিয়ে পথ চোলাতে চোলাতে আর প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করুবার অবসর হয় নি। পাহাড়ে ঢোলতে চোলাতে আমরা এই পাহাড়ী প্রদেশের একটা বৈচিত্ৰ্য বেশ লক্ষ্য করুছি ; কোথা ও কিছু নেই, দেখতে দেখতে আকাশ মেঘে ঢেকে গেল, চারিদিক অন্ধকার কোরে তুমুল ঝড় বৃষ্টি আরম্ভ হোলো, তার পরেই দশ মিনিটের মধ্যে সব পরিষ্কার । এই বৃষ্টি, এই রোদ । আমাদের দেশের প্রকৃতির এমনতর চাঞ্চ ল্য 2 श्रदें 6तथा या न। পিপলচটী হোতে কর্ণপ্ৰয়াগ পৰ্য্যন্ত রাস্তা সবে তিন মাইল মাত্র, কিন্তু এই তিন মাইল আসতেই একেবারে আমাদের প্রাণান্ত পরিচ্ছেদ । একে ঝড়বৃষ্টি, শিলাপাত, তার উপর রাপ্ত। আগাগোড়া চড়াই ; সে চড়াই ও এক এক জায়গায়ু ঠিক সোজা। একে ত সহজ অবস্থাতেই তা বোয়ে উপরে উঠা কঠিন, তার পর বৃষ্টি হোয়ে পাথর ভিজে গিয়েছে ; অত্যন্ত সাবধানে ধীরে ধীরে পা ফেলে আমাদের চোলাতে হোলে! { বোলা প্ৰায় তিনটের সময় পিপলচটী হোতে বের হোয়ে এই তিন মাইল পথ অতিক্রম কোরে শীতে কঁাপিতে কঁাপিতে যখন কর্ণপ্ৰয়াগে উপস্থিত হোলুম, তখন বোধ হয় বেলা ৬টা। একটা মাটনর কোঠার দ্বিতলে বাসা নে ওয়া গেল।