পাতা:হুতোম প্যাঁচার নক্সা-দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামলীলা । 학 সূৰ্য্যদেবও সমস্ত দিন কমলিনীর সহবাসে কাটিয়ে স্থরতপরিশ্রান্ত নাগরের মত ক্লন্ত হয়ে শ্রান্তি দূর করবার জন্যই য্যান অস্তাচৰ আশ্ৰয কল্লেন ; প্রিয়সখী প্রদোষের পিছে পিছে অভিলারিণী সন্ধ্যাবধু ধীবে ধীরে সতিনী সৰ্বরীর অনুসরণে নির্গত হলেন ; রহস্যজ্ঞ অন্ধকার সমস্ত দিন নিভৃতে লুকিয়ে ছিলো, অ্যাখন পাকিদের সঙ্কেত বাক্যে অবসর বুঝে ক্রমশ দিকসকল আচ্ছাদিত করে নিশানাৰ্থেব নিমিত্ত অপূৰ্ব্ব বিহাবস্থল প্রস্তুত কন্তে আরম্ভ করে। এদিকে বাবুর ব্রিজ কা রামলীলার বঙ্গভূমিতে উপস্থিত হলো। রামলীলার রঙ্গভূমি, রাজা বাহাদুবের বাগান খানি পুৰ্ব্বে সহবের প্রধান ছিল, কিন্তু কুলপ্রদীপ কুমারদের কল্যাণে আজকাল প্রকৃত চিড়িযাখান হযে উঠেছে। পূর্বে রামলীলা ঐ বাজা বদিনাথ বাহাদুবেব বাগানেতেই হতো ; গত বৎসর হতে বহিত হয়ে রাজা নরসিংহ বাহাদুরের বাগানে আরম্ভ হযেচে । নবসিংহ বাহাদুরের ফুলগাছের উপর যার পর নাই শক্‌ ছিল এবং চিবকাল এই ফুলগাছের উপাসনা কবেই কাটিযে গ্যাচেন, হুতরাং তার বাগান সহাঁরব শ্রেষ্ঠ হবে বড় বিচিত্র নয় । অ্যামন কি অনেকেই স্বীকার করেচেন যে, গাছেরপারি পাট্যে রাজা বাহাদুরদের বাগান কোম্পানীর বাগান হতে বড় খাট ছিল না কিন্তু বর্তমান কুমার বাহাদুর পিতাব মৃত্যুর মাসেকের মধ্যে বাগান খানি আযরান করে ফেল্লেন ; বড় বড় গাছগুলি উপড়ে বিক্রি করা হলো, রাজা বাহাদুরের পুরাতন জুতো পৰ্য্যন্ত পড়ে রইলো না, যে প্রকারে ছোক্ টাকা উপার্জন করাই কুমার বাহাদুরেব মতে কৰ্ত্তব্য