বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হুতোম প্যাঁচার নক্সা-দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
হুতোম।

কর্ম্ম। সুতরাং শেষে এই শ্রেষ্ঠ বাগান রামলীলার রঙ্গভূমি হয়ে উঠ‍্লো, ঘরে বাইরে বানর নাচ‍্তে নাগ‍্লো, সহরে শোরোত্ উঠলো এবার বদ্দিনাথের বদলে রাজা নরসিংহের বাগানে “রামলীলা” কিন্তু এবার গাড়ি ঘোড়ার টিকিট রাজা বদ্দিনাথের বাগানে রামলীলার সময় টিকিট বিক্রি করা পদ্ধতি ছিল না, রাজা বাহাদুর ও অপর বড়মান‍্সে বিলক্ষণ দশ টাকা সাহার্য্য কত্তেন তাতেই সমুদায় খরচ ক‍্লিয়ে উঠ‍্তো। কিন্তু রাজা বদ্দিনাথ বৃদ্ধাবস্থায় দুতিন বৎসর হলো দেহত্যাগ করায় রাজকুমার সুবৃদ্ধি বাহাদুরেবা বাগান খানি ভাগ করে নিলেন, মধ্যে দেইজি পাঁচিল পড়‍্লো সুতরাং অন্য বড় মানুষেরাও রামলীলায় তাদৃশ উৎসাহ দ্যাখালেন না, তাতেই এবার টিকিট করে কতক টাকা তোলা হয়। বল তে কি, কলিকাতা বড় চমৎকার সহর। অনেকেই রং তামাসায় অপব্যয় কত্তে বিলক্ষণ অগ্রসর, টিকিট সত্তে ও রামলীলার বাগান গাড়ি ঘোড়া ও জনতায় পরিপূর্ণ লোকের বেজায় ভীড়।

 এ দিকে বাবুর ব্রিজ‍্কা জনতার জন্য অধিক দূর যেতে পাল্লে না, সুতরাং হজুর দল বল সমেত পায়দলে ব্যাড়ানোই সঙ্গত ঠাউরে গাড়ি হতে নেবে ব্যাড়াতে ব্যাড়তে রঙ্গভূমির শোভা দেখতে লাগ‍্লেন।

 রঙ্গভূমির গেট হতে রামলীলার রণক্ষেত্র পর্য্যন্ত দুসারি দোকান বসেচে, মধ্যে মধ্যে নাগরদোলা খুচ্চে―গোলাবিখিলী, খেলেনা, চনেচুর ও চিনের বাদম প্রভৃতি ফিরিওয়ালাদের চিৎকার উঠ‍্চে। ইয়ারের দল খাতায় খাতায় প্যারেড