পাতা:হেমচন্দ্র.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অঙ্ক { (একখানি শিবিক লইয়া তরুমূলে চারিজন বাহকের উপস্থিতি; শিবিকা হইতে হরপ্রসাদ বাবুর অবতরণ ও তরুমূলে উপবেশন; বাহকগণের তালবৃন্ত দ্বারা ব্যজন । ) হরপ্রসাদ । ( হেমচন্দ্রের দিকে চাছিয়া ) উঃ কাত্তিক মাসে কি প্রচণ্ড রদপুর। হেমচন্দ্র। অজ্ঞে ই । হরপ্রসাদ । তোমার নাম কি বাপু, তুমি দেখচি ব্রাহ্মণ—প্ৰণাম। হেমচন্দ্র । স্বস্ত্যস্তু। আমার নাম হেমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় । হরপ্রসাদ | তোমার নিবাস ? হেমচন্দ্র। কাটোয় । হরপ্রসাদ | এখন যাওয়া ছ’চে কোথায় ? হেমচন্দ্র । পূজার ছুটতে বাড়ী এসেছিলাম, অদ্য কলিকাতায় যাবে। ব’লে বেরিয়েছি। মহাশয়ের নাম ? হরপ্রসাদ । সে কি বাপু আমাকে চেন না ? অামার নাম হরপ্রসাদ রায়চৌধুরী, আমি বিষ্ণুপুরের জমীদার, কাটোয়ায়ও আমার জমীদারী আছে, আমিও সেখান থেকে আসূচি। তুমি কি কর বাপু ? হেমচন্দ্র । আজ্ঞে সে দুঃখের কথা কি বলবো, কলকেতায় একটা সওদাগরের আপিসের ওজন সরকারী। হরপ্রসাদ । কয়ট টাকা বেতন পাও? হেমচন্দ্র । ( অধোমুখে ) ১২ট টাকা পাই । হরপ্রসাদ। আরো কিছু উপরি পাও? হেমচন্দ্র। নিলে কিছু পাওয়া যায় বটে, কিন্তু যেরূপ বিশ্বাসের কাজ তাতে নিতে গেলে মহাজনের ক্ষতি করা হয় ; সুতরাং এরূপ কাজ ক’লে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়।