Wり হেমচন্দ্র । দ্বিতীয় গর্ভাঙ্ক । ساسایی =کتک میگنج تتیسمس سه মাঠ ; বেলা দুই প্রহর । হেমচন্দ্র। (একটা সুবিস্তৃত ঘন-পল্লবারত তৰুমূলে আসিয়া ) আঃ কি স্নিগ্ধ ছায়া! তৰুবর! তুমি দীর্ঘজীবী হও! পৃথিবীতে আমার ন্যায় বিস্তর লোক প্রখর রৌদ্রের তাপে দগ্ধ হ’য়ে তোমার সুশীতল ছায়ায় বিশ্রাম হেতু আসবে ; বিস্তর গৃহ-হীন অনাথ কোথাও আশ্রয় না পেয়ে তোমার তলে এসে রাত্রি যাপন করবে । ( দুইজন ভিখারিণীর প্রবেশ । ) ভিখারিণীদ্বয়। বাবুর জয় হউক—বাবু সুখে থাক—কিছু খেতে দাও বাবু—মোরা কাল দুপর বেলা থেকে কিছু খেতে পাইনিকো বাবু, মোদের মাইয়ের দুধ নাবেনি, ছেলে দুটা ট ট ক’রচে । হেমচন্দ্র । (দয়াৰ্দ্ৰ হ’য়ে ) এই নেও বাছার (টুইট ভুয়ানি প্রদান )। এক ভিখারিণী । কেমন দেখলিলো, মুইতে বলে থাকি, এক এক জন বাবু আছে তেনার পরমেশ্বরের চেয়ে দয়ালু। (ভিকারিণীদ্বয়ের গমন । ) হেমচন্দ্র। (চকিত হয়ে স্বগত) উঃ কি বিষম কথা ! কি শুল্লুম! ঈশ্বর—স্থষ্টিপতি—অখিলনাথ! এ কি কথা!! (স্তব্ধ হইয়া চিন্তন) এই ভিখারিণীদ্বয় অবশ্ব বহুকাল যৎপরোনাস্তি দুঃখে ব্যথিত হ’য়ে এই কথ। বলেচে। জ্ঞানীরা বলেন দুঃখ মনুষ্যের উপকারের জন্য আইসে। হিতছিত জ্ঞাম, মনুষ্য-স্বভাব-বোধ, সত্য ও ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা, দুঃখ হইতেই জন্মে। সত্য, এই সকল হয় বটে ; কিন্তু দুঃখেরও সীমা আছে। যেমন বহুদিনব্যাপী দুরন্ত অনারটি পৃথিবীর মঙ্গলসাধন ন ক’রে বরং অনিষ্ট করে, অধিককাল-স্থায়ী, অতীব, অসহ কষ্টও সেই রূপ মনুষ্যের বুদ্ধি, দয়া, স্নেহ প্রভৃতিকে নিস্তেজ করে--
