[ ৮৬ ]
তাঁহাদের নিকট উপস্থিত হইয়া বলিলেন, “তোমাদের উত্তরীয় (Badge) পরিত্যাগ কর;” তাঁহারা “বন্দেমাতরং” অঙ্কিত উত্তরীয় পরিত্যাগ করিতে অস্বীকার করিলেন। তখন কেম্প বলপূর্ব্বক উত্তরীয় কাড়িয়া লইবার উদ্যোগ করিলেন। তাঁহারা হস্ত দ্বারা বক্ষোপরিস্থ উত্তরীয় চাপিয়া ধরিলেন। তখন কেম্প স্বয়ং ও তাহার অনুচর পুলিশ তাঁহাদিগকে প্রহার করিতে লাগিল। তখন তাঁহারা “বন্দেমাতরম্” ধ্বনি করিয়া অটল অচলের ন্যায় রাজপথে দণ্ডায়মান হইলেন। কেম্প ও পুলিশ বলপূর্ব্বক তাঁহাদের উত্তরীয় অপহরণ করিতে লাগিল। ইহাদের উপর অবিশ্রান্ত লাঠি বৃষ্টি হইতে লাগিল, তথাপি ইহারা ছত্রভঙ্গ হইলেন না, বন্দেমাতরম্ ধ্বনিতে চতুর্দ্দিক প্রতিধ্বনিত করিতে লাগিলেন। পুলিশের লাঠিতে শচীন্দ্র প্রসাদের বদনমণ্ডল ফাটিয়া রক্তপাত হইল। ফণীন্দ্রনাথের সর্ব্বাঙ্গ লাঠিতে ক্ষত বিক্ষত হইল, বীরেন্দ্র, সুরেন্দ্র, হেম আহত হইল, তথাপি কেহ বন্দেমাতরম্ বলিতে ক্ষ্যান্ত হইল না। এণ্টিসার্কুলার সোসাইটীর প্রত্যেক প্রতিনিধি আহত হইল, তথাপি কেউ ভীত হইল না। শ্রেণী ভাঙ্গিয়া পলায়ন করিল না।
বাবু বিপিনচন্দ্র পাল
গোলযোগের প্রারম্ভকালে লোন আফিসের অলিন্দোপরি দ্রুত-পদবিক্ষেপে গমন করিলেন, আর