পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ৯৭ ]

থাকিবে কি না, সেই শঙ্কা, এই উদ্বেগ, পিতার প্রাণে কি দারুণ আঘাত করিতেছিল, তাহা অন্তর্য্যামিই জানেন। কিন্তু অন্তরের ভাষা বেশ সংযত করিয়া মনোরঞ্জন বাবু যে বীরত্বের দৃষ্টান্ত দেখাইলেন, তাহা কি এই হতভাগ্য বঙ্গদেশে বিফল ইইবে?

শ্রীমান্ চিত্তরঞ্জন গুহ ঠাকুরতা।

 এই বীরবালক সুপ্রসিদ্ধ বক্তা শ্রীযুক্ত মনোরঞ্জন গুহ ঠাকুরতার অন্যতম পুত্ত্র। ইহার অঙ্গে এণ্টিসার্কুলার সোসাইটির নাম অঙ্কিত ছিল বলিয়া কাপুরুষ পুলিশের লোকেরা ইহাকে আক্রমণ করে। এদিক হইতে লগুড়ের আঘাতে উহাকে ওদিকে ফেলিয়া দেয়। বালক “বন্দেমাতরম্” বলিতে বলিতে ওদিকে গিয়া পড়ে, আবার ওদিক হইতে লাঠির ঘায় বালককে এদিকে ফেলিয়া দিলে বালক বন্দেমাতরম্ বলিতে বলিতে এদিকে আসিয়া পড়ে। কঠোর আঘাতে একবারও বালক “বন্দেমাতরম্” বলিতে বিরত হয় নাই। শেষে পাষণ্ডেরা যখন তাহাকে পুষ্করিণীতে ফেলিয়া দিল ও লগুড়াঘাত করিতে লাগিল তখনও শ্রীমান্ চিত্তরঞ্জন “বন্দেমাতরম্” ধ্বনি পরিত্যাগ করে নাই। এই ভাবে তাহার প্রাণ-বিয়োগের সম্ভাবনা দেখিয়া একজন হিন্দুস্থানী পুলিশ কর্ম্মচারী তাহাকে পুষ্করিণীর পাড়ে তুলিয়া দেয়। বালকের তখন মাথা ঘুরিতেছিল, তীরে আসিয়া দারুণ যন্ত্রণায় তাহার সংজ্ঞা বিলুপ্ত হইলে, সে বিশ্রামলাভ করিল। তাহার পিতা আসিয়া যখন পুত্ত্রকে দেখিলেন, তখন বালক বলিল