নাই। কৃষ্ণকুমার বাবু বরিশালের প্রথম দিবসের ঘটনা বিবৃত করিলে শ্রীযুক্তকালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ অসুস্থতাসত্ত্বেও কিয়ৎকাল বক্তৃতা করেন। তিনি বরিশালে পুলিশ ঘটিত অত্যাচারকাহিনী বিবৃত করেন এবং পুলিশ যে আবশ্যক হইলে কিরূপ পণ্ডবল প্রকাশ করিতে উদ্যত হইতে পারে, তাহা বুঝাইয়া দেন। বরিশালের ম্যাজিষ্ট্রেট মিঃ ইমার্সন দেশমান্য শ্রীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কিরূপ অসদ্ব্যবহার করিয়াছেন, তাহাও তিনি প্রকাশ করেন। ইহাতে সমাগত জনসমূহ ভয়ানক উত্তেজিত হইয়া উঠেন এবং প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধই তাঁহাদের বীজমন্ত্র হইবে বলিয়া স্বীকার করেন। তাঁহারা কখনও আর বিলাতী দ্রব্য স্পর্শ করিবেন না, তাহাতেই বরিশালের অত্যাচারে প্রতিশোধ লইবেন বলিয়া প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন।
তদনন্তর পণ্ডিত শ্রীযুক্ত গীস্পতি রায়চৌধুরী কাব্যতীর্থ, দণ্ডায় মান হইয়া নূতন বঙ্গের ছোটলাট ফুলার সাহেব ও তাঁহার উপযুক্ত পাশ্বচর, অনুচর প্রভৃতির পাশবিক গুণের কথা একে একে ব্যক্ত করিলেন। বক্তৃতান্তে সভা ভঙ্গ হয়। সকলেই বন্দেমাতরম্ ধ্বনি সহকারে স্বস্থানে প্রস্থান করেন।