পাতা:৪২ - প্রচার পুস্তিকা (১৯৫১).pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বি য়াল্লিশের বিক্ষুব্ধ ভারত । ভারতের আকাশে আজ ঝড়ের মেঘ। প্রত্যাসন্ন বিপ্লবের সম্ভাবনায় চিত্তাসখো ইতিহাস বিস্মিত। গান্ধীজীর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত হলো চরম বাণী-ছাড়ো ভারত। সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পট-পরিবর্ত্তন। শৃঙ্খলমোচনের দুর্জয় সংকরে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো ভারতের অন্তরাত্মা। উদ্বেলিত হয়ে উঠলো আসমুদ্রহিমাচল ভারত। শুরু হলো ভারতের স্বাধীনতার শেষ সংগ্রাম।

বিয়াল্লিশের বাংলা! বৃটশ সামরিক শক্তির পাশবিকতা আর হিংস্র পুলিশী জুলুমের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়ালো। তরঙ্গের পর তরঙ্গ তুলে

বারা ভারতে ছড়িয়ে পড়লো বিয়াল্লিশের আন্দোলন। সেই আন্দোলনের তরঙ্গশীর্ষে দেখা দিল বাংলারই একট গ্রাম। চক্ষে তার রুদ্রের রোষ-বহ্নি আর কণ্ঠে রণহুঙ্কার-ছাড়ো ভারত!

দুশো বছর ধরে আমরা স্বাধীনতার যে স্বপ্ন দেখে এসেছি আজ তার বাস্তবমূর্ত্তি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় এই বিয়াল্লিশকে। পৃথিবীর স্বাধীন জাতির দরবারে ভারত যে আজ গৌরবের আসন পেয়েছে তার মূলে আছে এই বিয়াল্লিশের আন্দোলন। শক চূণ তাতার মোগল পাঠান-কত বিদেশী দল হানা দিয়েছে ভারতের স্বর্ণভূমিতে-শেষে এল বণিকের বেশে ইংরেজ। খণ্ড বিচ্ছিন্ন ভারত, ভারতবাসীদের মধ্যে একতার অভাব-তার সঙ্গে জনকয়েক স্বার্থান্ধ দেশদ্রোহীর ষড়যন্ত্র সুযোগ দিল ইংরেজকে। সেই রুযোগে একদিন বণিকের মানদণ্ড দেখা দিল রাজদণ্ড রূপে। সাম্রাজ্যবাদীর লোভ ভারতবর্ষকে অধীনতার নাগপাশে বেঁধে ক্ষান্ত হলো না-ভারতের ঐশ্বয্যের অবাধ লুণ্ঠনে তারা দ্বিধা করলো না এতটুকু।