(108)
ভট্টাচার্য্য মহাশয়কে যে জমী ব্রহ্মত্র দেওয়া গিয়াছে সে গ্রামের সরদারের মহলহইতে তোর সাতে তাহার কি।
তৎকথা।
মহাশয় তুমি চিঠা বাহির করিয়া দেখ তাহাতে সকল লেখা আছে।
এই দেথ চিঠা তোর মহলে ব্রহ্মত্র লেখা যায় না।
আমি সে কথা শুনি না গ্রামের কর্ম্মচারি আছে তাহাকে ডাকাইয়া কহিয়া দেও যে আমার মহল জরিপ করিয়া বুঝাইয়া দেয়।
তুই আগে খাজানার টাকা দাখিল কর তখন তোর ও সকল কৈফিয়ত শুনিব।
আমার মহল জরিপ করিয়া বুঝাইয়া না দিলে আমি খাজানা দিব না।
তোর মহল জরিপ করিলে যে২ রাইয়তের বাকি আছে সকলেই কৈফিয়ত করিবে।
কি খাইয়া আমার মহলের এত টাকা মালগুজারি করিব।
তুই আদ্যোপান্ত ও মহলে মালগুজারি করিয়া আসিতেছিস এবার এমত হইলি কেন।
আমার এবার কোন রাহা নাই অন্য স্থানহইতে গতর খাটাইয়া তোমার মালগুজারি করিতাম এবার তাহাও পারিলাম না।
এখন কৈফিয়ত রাখ মালগুজারির টাকা দে গিয়া।
এই লও মহাশয়। গরু বাছুর বেচিয়া তোমার টাকা আনিয়াছি।
কথোপকথন।
ফলানা পুত্ত্রের বিবাহ দিয়াছে যথেষ্ট খরচ করিয়াছে।
কোন গ্রামে বিবাহ দিয়াছে। কাহার কন্যার সহিত।
রাধামোহনপুরে কমললোচন ঘোষের পুত্ত্র রামচরণ ঘোষ তাহার কন্যার সহিত বিবাহ হইয়াছে।