জননী সোণামণি দেবী। ܟܠ দিনে, কেমন সহজে মাতৃ-আজ্ঞার অনুবর্ত্তী হইয়া জীবন সার্থক করিায়াছেন!!!—এইট বর্তমান সমাজের পক্ষে উচ্চ আদর্শ বলিয়া মনে হয়। অনেক স্থলে পিতামহী, মাতামহী বিধবা পিতৃঘস্থগণের স্নেহপ্রাবল্যে মাতৃশিক্তি কার্য্যকারী হয় না। এ ক্ষেত্রে গুরুদাসের পিতামহী তাহার বধুমাতার পুত্রপালন-পদ্ধতি অবলোকন করিয়া এরূপ বুঝিয়াছিলেন যে, তিনি কখনও “খোদার উপর খোদকারি” করিতে যাইতেন না। অবশ্য এটা হয়ত স্তর গুরুদাসের শুভগ্রহের ফল বলিতে দুইবে, কারণ অনেক স্থলেই প্রবীণা গুরুজনের অসাবধানতায় মাতৃশিক্তি উত্তমরূপে কার্য্য করিতে পায় না; এ বিষয়ে গুরুদাসের পিতামহী দেবী ভিন্নধাতুর লোক ছিলেন। বয়োবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গুরুদাসের অতি কোমল ও নম্র স্বভাবের পরিচয় পাইয়া নারিকেলডাঙ্গা পল্লীসমাজ তাহার মাতৃদেবীকেই প্রশংসাবাদ করিতে লাগিল। তঁহার পুত্রপালন পদ্ধতি প্রতিবেশিনী মহিলামহালে বিশেষ একটা প্রতিষ্ঠালাভ করিল। পাড়ায় কেহ পুত্রকন্যা লইয়া বিব্রত ও বিপন্ন হইলে, সর্ব্বাগ্রে তাহারই দ্বারস্থ হইত। তিনিও BBBD DBDBD DBDBS SDuDDBS BDDSBDuDD SOsBLD S BDBBBD 'তাৎক্ষণাৎ দুরন্ত বালক-বালিকাকে শান্ত করিয়া দিতেন। তিনি সর্বাগ্রে ঐ রূপ অশিষ্ট বালক-বালিকাকে নিকটে ডাকিয়া আনিয়া কিছু আহার দিতেন, সঙ্গে সঙ্গে তাহার সঙ্গে আত্মীয়তা স্থাপন করিয়া তাহার আবদার বা রাগের কারণ জানিয়া লইতেন; পরে, স্থলবিশেষে তাহার আত্মীয়স্বজনকে দুএকটা মিষ্টভৎসনা করিয়া, শেষে তাহাকে অতি অল্পসময়ের মধ্যে তাহার দৌরাত্ম্য ও বেয়াদবি বুঝাইয়া দিতেন,-তখন সে ত্বরায় নিজের দোষ স্বীকার করিয়া। শান্তভােব ধারণ কিরিত। “. . . . . .