Vo डौदन श्रृङि। পাইল যে বোতলের মধ্যে অগ্নিমান্দ্যের ব্রহ্মাস্ত্র জামের আরক ছিল, তখন কি পরিমাণে হাস্তের রোল উঠিয়াছিল তাহা অনুমেয়॥ সার গুরুদাস বহরমপুরে এক বিয়াল্লিশ-কর্ম্মী ওস্তাগরের পাল্লায় পড়িয়াছিলেন। সুবিধাজনক দরে কিছু জিনিষ পত্র কিনাইয়া সে তাহার সঙ্গে বেশ ভাবসাব করিয়া লইয়াছিল। ঘন ঘন আসিয়া, व्याशा व्गश्l cनव्भ ঠুকিতে আরম্ভ করিল দেখিয়া, তিনি তাঁহাকে বলেন, যে মিছামিছি আনাগোনা করা অনাবশ্যক, প্রয়োজন হইলে তিনি তাহাকে ডাকিয়া পাঠাইবেন। সে তবুও আসা-যাওয়া করিতে বিরত হইল না। একদিন সার গুরুদাস তাহাকে চাপাচাপি করিয়া ধরিলে, সে বলিল যে দর্জির কাজ তাহার একমাত্র ব্যবসায় নহেসে চমৎকার; জগৎ সুপ ( Jug soup ) তৈয়ারী করিতে জানে এবং অনেক হোমরা-চোমরা বাবুর রসনা তদাস্বাদনে। ধন্য হইয়াছে। সার গুরুদাসের চোটপাট জবাব শুনিয়া ওস্তাগর তঁহাকে বদ-রাসিক ঠাহরাইল, এবং যাইবার কালে উপদেশ দিয়া গেল যে ডিরিঙ্ক (মদ্য) ও সুপের বন্দোবস্ত না করিলে তঁাহার দোস্তি (বন্ধু) জুটবে না ও পাসার জমিবে না। ওকালতি করিবার কিছু পূর্ব হইতে সার গুরুদাস উর্দু ভাষা শিক্ষা করিতেছিলেন। ইহাতে মুসলমান মকেলাদিগের দলিল ও খাতাপত্র বুঝিতে সুবিধা হইত। তাহার সহাধ্যায়ী নীলাম্বর মুখোপাধ্যায় পঞ্জাবে ওকালতি করিতে মনস্থ করিয়া ঐ ভাষা আয়ত্ত করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছিলেন। বহরমপুরে আসিয়া সার গুরুদাসের স্বাস্থ্য, অর্থ, বন্ধু, সন্মান কিছুরই অভাব হয় নাই—কিন্তু ষোল আনা সুখ মানুষের অদৃষ্ট ঘটে না। কুক্ষণে র্তাহার মাতুল, জননী ও সহধর্ম্মিনী মুর্সিদাবাদ