বৌদ্ধযুগ—মাণিকচন্দ্র রাজার গান—খ্রঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। ←a☾ চোঁদ তাল (১) জলের মধ্যে ময়না আসন করিল। কপালের সিন্দুর মহলান (২) দেখিল ৷ হাতের শাখা কাল দেখিল। লক্ষ টাকার মুঠ শাখা মস্তকে ভাঙ্গিল। স্বামী হারা হয়। রে। আর কত দিন রব চায়া রে॥ মহলত লাগিয়া (৩) মরন চলিল হাটিয়া। যেন ময়নামতী মন্দিরে সান্দাইল। আগ প্রদীপ পাছ প্রদীপ লাগাইয়া দিল। ৰমালয়ে লাগিয়া ময়না চলিল হাটিয়া। ময়নার যম-পুরীতে নদীর পারে ময়নামতী গেল চলিয়া॥ গমন। নদী দেখিয়া ময়না ভয়ঙ্কর লইল। ছয়মাস ওসার বছরত পড়ে খেওয়া। (৪) একে একে ঢেউ উঠে পর্ব্বতের চূড় ৷ বিধি আমার দুঃখের কপাল। যেমন বিলদার (৫) গোপাল॥ ভাঙ্গ নৌকা ছেড়া কাছি গুরু কেমনে হব পার। যদি আমার গুরু সহায় থাকে। ধরম হাইল ধরে ভাঙ্গা নৌকা ছিড়া কাছি। গুরু লাইগাব কিনারে। (৬) পরিধানের সাড়ী অৰ্দ্ধ থান ময়নামতী দিল জলত বিছায়া। যোগ আসন ধরিল ময়না ধরম (৭) স্মরণ করিয়া॥ তুড় তুড় করিয়া ময়ন হুঙ্কার ছাড়িল। ছয় মাসের দরিয়া ছয় দণ্ডে পার হৈল। (৮) (১) চোঁদ তাল= ৭ হাত ( এক এক তাল অৰ্দ্ধ হস্ত )। (২) মলিন। (৩) মহলের দিকে = রাজপুরীর দিকে। (৪) ওসার = বিস্তার। ছয় মাসে যতটা পথ যাওয়া যায়, ততদূর বিস্তৃত, এবং উহাতে বৎসরে একবার খেওয়া দেওয়া যায়। (৫) বৃন্দার। (৬) বিধি আমার দুঃখের কপাল হইতে কিনারে’ পর্য্যন্ত একটি ধুয়া ও পরবর্তী যোজনা। (৭) ধর্ম্মকে। (৮) ষে দরিয়া ( নদী ) পার হইতে ছয় মাস লাগে, তাহ ছয় দ গু-কালে উত্তীর্ণ হইল।