বৌদ্ধযুগ—গোবিন্দচন্দ্রের গীত-স্থঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। సాలి গোবিন্দ চন্দ রাজার খটব বড়ী তাটা। শুনি ব্রহ্মা রুষিবে পড়িয়ে মহী লুটি ৷ মুকতি কি কারণ কহিবা মোতে এবে। বেদপতি বৈলে তু জাতে হুআ এবে। কালীপার চেলা তু হইব মহাজ্ঞানী। তু বৈলে মোরোরা শাল খটব শেআলি ৷ গোবিন্দ চন্দ্রকু তা কহিব সদবুদ্ধি। মুকুতা দেই সহিতে সে হেব সিদ্ধি (১) বেদবর আজ্ঞায় জন্মিলা নীচ হোই। তাহার মহিমা বাৰু শুনিলাত না হই ৷ মোতে অগোচর প্রায়ে জানই মু ভাল। গোরখর চেলি (২) মুহি শুনিছি কর্ণরে। তু ৰে বনু খটই মরোড়া শাল মেরে। তাহারো আজ্ঞায় মান (৩) করই নির্ম্মল। প্রত্যক্ষ দেখ বাবু বেণী নয়নর॥ এতে বোলে নগর ভিতরে বিজে কলে। চৌরাণী মণ্ডপরে ভূজিল সাচিলে॥ দিন শেষে রজনী শয়ন গোবিন্দাই। রাত্র বেণী ঘড়ি গঢ় উজাখড় হোই॥ হীরারো বাটাউ সাড়ি ময়ভূ শালর। প্রকৃতি সজা সারিলো হইলা বাহার॥ রত্নঝারি জলরে দেউচ কলা কায়ে। খণ্ডে ধুরে অনাই তছি নৃপ রায়ে ৷ এমন্ত সময়ে রজনী পাহি গেলা। কাকো রবো দিল দিগ নির্ম্মল দিছিলা॥ হাড়িপাএ বাহিরো হইলে ধাতি (৪) কারো (৫)। পছরে গুড়াইলু কান্দইরে কো কুমারো। (৬) - হাড়িপা বৈলে বাবু কান্দু ঠাহি পাই। হাড়িপার সঙ্গে মিলন। এহি মনে (৭) আসিৰু মন্দিরে থান্ত রাই। (১) মুক্তাদেবীর সহিত একত্র তপস্তা করিয়া সিদ্ধি লাভ করবে। (২) গোরক্ষনাথের শিষ্যা। (৩) মন। (৪) ধাতি = আবর্জন। (৫) কারো = কারিতে= পরিষ্কার করিতে। (৬) কুমার কান্দিয়া পাছে পাছে চলিল। (৭) এই ক্ষণে।