· »ፃv) বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। হরি হরি কেন হইল নিদারুণ কি লয়ে থাকিব ঘরে॥ কাণ হরিদত্ত হরির কিঙ্কর মনসা হউক সহায়। তার অনুবন্ধ লাচারির ছন্দ শ্রীপুরুষোত্তমে গায়॥ মনসা-মঙ্গল – নারায়ণ দেব – ১৩শ শতাব্দী। (ত্রিপুরা জেলার ২২৫ বৎসরের প্রাচীন পুথি হইতে ੋਣ |) নারায়ণ দেবের পিতামহের নাম নরহরি, পিতার নাম নরসিংহ। ইহাদের আদি-বাসস্থান মগধ ছিল। ইহারা মধুকুলাগোত্র এবং গুণাকর গাই। নারায়ণ দেবের মাতার নাম রুক্মিণী বা রত্নাবতী, মাতামহের নাম প্রভাকর। নারায়ণ দেবের কনিষ্ঠ ভ্রাতার নাম বল্লভ; ইনি নারায়ণ দেব অপেক্ষ বয়সে চৌদ্দ বৎসরের ছোট। নারায়ণ দেব কিছুতেই বিদ্যাচর্চা করিতে না পারিয়া প্রাণত্যাগ-সংস্কল্পে এক সরোবরের নিকট গমন করিয়াছিলেন, এই সময়ে মনসাদেবীর কৃপায় তাহার সরস্বতীর অনুগ্রহ লাভ হইল। নারায়ণ দেব বলিয়া যাইতে লাগিলেন ও বল্লভ লিখিতে লাগিলেন, এই ভাবে তাহার সুপ্রসিদ্ধ মনসার ভাসান রচিত হয়। বিশেষ বিবরণ (তৃতীয় সংস্করণ ) বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের ১৯৩ পৃষ্ঠায় ও ভূমিকার “থ” পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। অপরাপর বিবরণ ১৭৩০ শকাব্দে পরগণা ভাতিয়া গোপালপুর, চোওডাল গ্রাম নিবাসী শ্রীগৌরীকান্ত দাস লিখিত নকল হইতে শ্রীযুক্ত তারকেশ্বর ভট্টাচার্য্য সংগ্রহ করিয়াছেন। নারায়ণ দেবকে বন্দনা করিয়া রাঢ়ের কেতকাদাস, ক্ষেমানন্দ প্রভৃতি কবি তাহদের মনসামঙ্গলের রচনা আরম্ভ করিয়াছেন (১)। সেই প্রাচীন যুগেও ময়মনসিংহবাসী কবির খ্যাতি কতদূর বিস্তুত হইয়া পড়িয়াছিল, ইহা দ্বারা তাহা অনুমিত হয়। দংশনের পূর্বে কালিনাগের লখীন্ধরকে দর্শন। চন্দন তিলক লখাই ললাটের মাঝে। যে হেন হেমের গিরি তরু লতা সাজে॥ রায় মহোদয়দ্বয় সম্পাদিত দ্বিজ বংশীর মনসামঙ্গলের ভূমিকা দ্রষ্টব্য।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২৯৮
অবয়ব