পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ ইসেনের মাতা। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। সাজ সাজ বলিয়া কটকে পড়ে সাড়া। ছোট বড় সাজিয়া আসিল হোসেন-পাড়া॥ যতেক যবন আছে হোসেনের পাড়া। নগর হইতে পুরুষ আসিল মাথা মুড়া। হাতে হাতে খুটি কান্ধে লইলেক সব। বড় পাকা জোলা চলে তার পাছে সব॥ সাজ সাজ বলিয়া কটকের হুড়াহুড়ি। সময় উচিত গাইন (১) বলিতে লাচারি॥ পঞ্চ ছন্দে নানা বাদ্য বাজেত তথায়। আওয়াজে বার্তা পাইল হোসেনের মায়॥ সেই ছিল হিন্দুর কন্যা তার কর্ম্ম-ফলে। বিবাহ করিল কাজি ধরি আপনি বলে ৷ হিন্দুর দেবতা বুড়ী ভাল মত জানে। আবাসে রহিয়া মোল্লা হিন্দুয়ানী না জানে। আসিল হিন্দুর বেটী বড় দৈব ফলে। ধাই আসি জানাইল বাহির দখলে। কেহ বলে কেন আইল খোনকারের ধাই (২)। আগে যাইয়া আমি সেলাম জানাই॥ আগে পাছে বান্দী সব বুড়া বিবি চলে। এইরূপে ধাইয়া গেল বাহির দখলে ৷ রহ রহ বলে হেথায় বেগমে। বুড়া বিবি আসিয়াছে না দেখে চসমে॥ কেহ বলে কেন আইল ঠাকুরদিদি আই। আগু হইয়া সেলাম করিল দুই ভাই॥ দয়া করি বুড়ী এখন বুঝায় সানন্দে। এই কালে বল ভাই লাচারির ছন্দে॥ খালাস মোল্লার তাবিজ। কাজির ওস্তাদ এক তার নাম খালাস। কেতাব কোরণে তার বড়ই অভ্যাস॥ অতি বড় মজবুত পাক চুল দাড়ি। পরিধান ভাঙ্গ ইজার ফেরে বাড়ী বাড়ী ৷ (১) প্রধান গাথক।, (২) ধাতৃ-মাতা।