পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৮ উবার নৃত্য। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। উত্তম উড়নী দিয়া সর্ব্বাঙ্গ ঢাকিয়া। তাতে যত লিখিয়াছে শুন মন দিয়া॥ কামিনী ভূষণ এ যে জানি পুরন্দরে। কৌতুকে দিলেন তারে শচী পরিবারে। শচীর ঠাই নৃত্য করি পাইয়াছে উষা। সেই বস্ত্র গায়ে দিলে নাহি ক্ষুধা তৃষা (১)। বিশ্বকর্ম্ম নির্ম্মায়েছে আপনার হাতে। ব্রহ্মাণ্ডেতে যত আছে লিখেছে তাহাতে ৷ স্বৰ্গ মর্ত্ত্য পাতাল লিখেছে ত্রিভুবন। দেব দৈত্য নাগ পক্ষী গন্ধর্ব্ব সুলক্ষণ॥ দেবের প্রধান ব্রহ্মা লিখিয়াছে তাতে। ংসবাহন রথে ব্রহ্মাণী সহিতে॥ চতুভূজ রূপ লিখেছে নারায়ণ। লক্ষ্মী সরস্বতী সঙ্গে গরুড়-বাহন॥ বৃষের উপরে হর লিখিয়াছে তথি। শিরে গঙ্গা উপরে দুর্গা কার্ত্তিক গণপতি॥ শঙ্করের কোলেতে লিখেছে বিষহরী। চতুভূজ মহামায়া রক্তবস্তধারী। আর আর যত ইতি ব্রহ্মাণ্ডেতে আছে। স্থাবর জঙ্গম আদি সব লিখিয়াছে॥ হেন বস্ত্র গায়ে দিয়া আসিল সুন্দরী। সভা মধ্যে দাড়াইল অঙ্গ ভঙ্গী করি। একে একে সভার দৃষ্টি হৈল উষা দিগে। মোহিত করিল সভা অনুরাগে ৷ দ্বিজ বংশী দাসে গায় পদ্মার চরণ। ভবসিন্ধু তরিবারে বল নারায়ণ॥ নৃত্য করে উষা সুন্দরী। চরণে নুপুর-ধ্বনি তালেতে টঙ্কার হানি দাড়াইল অঙ্গ ভঙ্গী করি॥ উষার মন্দিরা হাতে অনিরুদ্ধ তাল ঘাতে পাখোয়াজ করে ঢোলঢোলী। (১) এই বস্ত্রের গুণেই ক্ষুধা তৃষ্ণ হয় না।