سراجك ফুল্লরার উপদেশ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। নট পাইকে বলে বাপু আমি পাইক নহি। বেগার ধরি আনিছে পরের ভার বহি॥ পলায় বিশ্বাস পাইক ভয় ত্রাস পাইয়া। আকুল হইয়া কান্দে মুখে হাত দিয়া॥ যতেক ব্রাহ্মণ পাইক পৈতা ধরি করে। দন্তে তৃণ ধরি তারা সন্ধ্যামন্ত্র পড়ে॥ যত যত যোগী পাইক দণ্ড ধরি করে। রক্ষ রক্ষ বলি তারা বিনয়ত করে॥ মুসলমানে বলে যদি এবার এড়াই। ফিরে না আসিব ভাই খোদার দোহাই॥ ভগ্ন পাইকে কহে গিয়া মহাবীর আগে। তিন গড় মারা গেল শুনি বীর রাগে॥ প্রভু হে কিসেরে লইলা দেবীর ধন। পাইয়া দুর্গার বর কাননে তোলাইলা ঘর সাজে রাজা তথির কারণ॥ গোলাটে কৈলা নগর। না জানাল দণ্ডধর অল্প বুদ্ধি হল্যা অহঙ্কারী। না শুনিয়া মোর বাণী ঠগেরে বাড়াইলা পুনি (১) ভারু হৈল পরাণের বৈরী॥ তোমারে ভয় না করে জানাইল দণ্ডধরে দেবাইরে সাজাইয়া আনে ঠাট। মারিয়া প্রচণ্ড থানা চারি দিগে দিল হানা বেড়িয়া রহিল গুজরাট॥ আমার বচন ধর অহঙ্কার দূর কর লও গিয়া রাজার শরণ। তুষ্ট হলে মহাশয় কাররে নাহিক ভয় দুয়ায়ে পাইবা সর্ব্বজন॥ লোকে জানে সর্ব্ব কাল রাজা অষ্ট-লোকপাল বিরোধিতে না আসে যুকতি। (১) ভারু দত্ত অতিশয় প্রতারক ছিল, তাহাকে প্রশ্রয় দেওয়াতেই সেই ব্যক্তি শেষে শক্র হইয়া কলিঙ্গাধিপতিকে প্ররোচনাপূর্বক এই দ্বন্ধ
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৪৫২
অবয়ব